পদ্মায় পড়েও সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে গেলেন লঞ্চযাত্রী!

|

প্রদ্যুৎ কুমার সরকার, মাদারীপুর

প্রচণ্ড ভীড়ের মধ্যে তড়িঘড়ি করে লঞ্চে উঠতে গিয়ে পদ্মা নদীতে পড়েও প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিসের তৎপরতায় সৌভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে গেলেন সাতার না জানা ফয়সাল নামের এক লঞ্চযাত্রী যুবক।

ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার দুপুরে শিবচরের কাঠালবাড়ি লঞ্চ ঘাটে।

শুক্রবার সকাল থেকে কাঠালবাড়ি ঘাট হয়ে কর্মস্থলমুখী যাত্রীদের ঢল নামে। লঞ্চ, স্পিডবোট ও ফেরিতে কানায় কানায় পূর্ণ ছিলেন যাত্রীরা। সবচেয়ে বেশি ভীড় ছিল লঞ্চ ঘাটে।

বেগতিক পরিস্থিতি সামাল দিতে সকাল থেকেই লঞ্চ ঘাটে অবস্থান নেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান আহমেদ, বিআইডব্লিউটিএ’র উপ পরিচালক কবির হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, ফায়ার সার্ভিস, আনসার সদস্যরা।

দুপুরে লঞ্চ ঘাটে প্রচন্ড ভীড়ের মাঝে মোঃ ফয়সাল (২৬) নামের এক যাত্রী কাঁধে ঝোলানো ব্যাগসহ একটি লঞ্চে উঠতে গেলে নদীতে পানিতে পড়ে যান। তার চিৎকারে তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এগিয়ে আসেন।

কিন্তু নদী থেকে পন্টুনে উঠানোর কোন সরঞ্জাম না থাকায় সবাই শঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে একটি বাঁশের সহযোগিতায় হাত টেনে উঠানো হয় তাকে। লঞ্চ ঘাটে মোটা রশীসহ পানি থেকে যাত্রী উত্তোলনের জন্য সরঞ্জাম না থাকায় এসময় লঞ্চ সম্পৃক্তদের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিআইডব্লিউটিএ উপ পরিচালক।

পরে ফয়সালকে শুশ্রুষা দিয়ে শিমুলিয়াগামী লঞ্চে তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। ফয়সাল ঈদ উপলক্ষ্যে শিবচরের আত্মীয় বাড়িতে বেড়ানো শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। ফয়সালের বাড়ি নারায়নগঞ্জ জেলায়। তার বাবার নাম মোঃ বোরহানউদ্দিন।

পানি থেকে উদ্ধারের পর ফয়সাল বলেন, তাড়াহুড়ো করে উঠতে গিয়ে নদীতে পড়ে গিয়েছিলাম। সাঁতার কাটতে পারি না তাই খুব ভয় পেয়েছিলাম।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply