ভারতে কাজের ক্ষেত্রেও হিন্দু এবং মুসলিমদের মধ্যে বিভাজন স্পষ্ট। এক দিকে যখন হিন্দুরা মূলত কৃষিকাজকেই বেছে নেন, তখন মুসলিমরা বাছেন শিল্পজাত কর্মকে।
এমনই জানা গেল ২০১১-এর আদমশুমারির ভিত্তিতে তৈরি করা একটি রিপোর্টে। ভারতের রেজিস্ট্রার জেনারেল এবং সেন্সাস কমিশনার এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে কৃষিকাজে যুক্ত মোট মানুষের ৪৫.৪০ শতাংশই হিন্দু। অন্য দিকে মুসলিমরা অকৃষিজাত কাজকেই বেশি গুরুত্ব দেন। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, একশোজন কর্মসক্ষম মুসলিমের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশই শিল্পজাত কর্মের সঙ্গে যুক্ত।
এই রিপোর্টের আরও গভীরে যদি ঢোকা যায়, তা হলে দেখা যাবে, ভারতের ২৮ শতাংশ হিন্দু মাঠে কৃষকের কাজ করেন। নিজের বা অন্যের জমিতে পয়সার বিনিময়ে যিনি চাষাবাদের কাজ করেন, সেন্সাসের মতে তিনিই কৃষক। তবে শিল্পজাত কর্মের সঙ্গে মুসলিমরা বেশি যুক্ত হলেও সাক্ষরতার হার মুসলিমদের মধ্যে কম থাকায় বেশি পদোন্নতি হতে পারে না তাদের।
সাক্ষরতার হারের মধ্যে হিন্দু এবং মুসলিমদের মধ্যে বিভাজন ভালো রকমই স্পষ্ট। মুসলিমদের মধ্যে সাত বছরের নিরক্ষরদের সংখ্যা ৪২.৭২ শতাংশ, কিন্তু হিন্দুদের ক্ষেত্রে সেই সংখ্যাটা কমে আসে ৩৬.৪০ শতাংশে।
বিশেষজ্ঞদের মতে মুসলিমদের জমির মালিকানার মধ্যে অসামঞ্জস্য রয়েছে, এর ফলেই তারা কৃষিকাজ ছেড়ে শিল্পজাত কাজের দিকে পা বাড়ায়। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বাকি ধর্মের মানুষের থেকে মুসলিমদের মালিকানাধীন জমি তুলনামূলক ভাবে অনেকটাই কম।
Leave a reply