ঝুঁকিপূর্ণ ঋণ আদায় করতে পারছে না ১২ ব্যাংক, বাড়ছে মূলধন ঘাটতি

|

ঝুঁকিপূর্ণ খাতে বিতরণ করা ঋণ আদায় করতে পারছে না সরকারি-বেসরকারি ১২টি ব্যাংক। এসব ঋণের বিপরীতে প্রভিশনও রাখা হয়নি। যে কারণে মূলধন ঘাটতি বাড়ছে। এসব ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। বিশ্লেষকরা বলছেন, অনিয়ম দুর্নীতির কারণেই ঝুঁকির মুখে বাণিজ্যিক ব্যাংক। মূলধন ঘাটতি থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে ঋণ প্রদান কার্যক্রমও সংকুচি হয়ে আসবে। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক থেকেও খেলাপি ঋণ আদায়ে জোর দেয়ার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

দুর্নীতি আর নিয়মবহির্ভূত ঋণ বিতরণে ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়েছে বেশকয়েকটি বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংক। সরকারি ব্যাংকের পাশাপাশি এ তালিকায় যুক্ত হয়েছে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকও। অনিয়ম আর যোগসাজশে বিতরণ করা ঋণ সময়মতো ফেরত না পাওয়ায় মূলধন ঘাটতিতে পড়েছে অন্তত ১২টি ব্যাংক।

রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঘাটতি অগ্রণী ব্যাংকের। ঘাটতির পরিমাণ আড়াই হাজার কোটির ওপরে। সোনালী, রূপালী আর বেসিক ব্যাংকের ঘাটতি ২ হাজার কোটি টাকারও বেশি। আর বিশেষায়িত কৃষি ব্যাংকের ঘাটতি ১৩ হাজার কোটি ওপরে। বেসরকারি ৫টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মূলধন প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা। এবিবির সাবেক সভাপতি নুরুল আমিন বলছেন, খেলাপি ঋণের কারণে মূলধন ঘাটতিতে পড়েছে এসব ব্যাংক। সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে হলে খেলাপি আদায় বাড়তে হবে। ঋণ বিতরণে ব্যাংকগুলাকের মধ্যে আরো সচেতন হওয়া দরকার বলেও মনে করেন বিশ্লেষকরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলছেন, মূলধনের যোগান দিয়ে সংকটের সমাধান হবে না। তাই খেলাপি আদায়ের জোর দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। একই সাথে ঋণ বিপরীতে পর্যাপ্ত জামানত নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিতের তাগিদ দিয়েছেন তারা।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply