পার্বত্য এলাকায় প্রাকৃতিক বনায়নের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে কৃত্রিম বনায়ন। বিভিন্ন জাতের বনজ ও ফলজ গাছ চাষ করছেন কৃষকরা। এ উদ্যোগে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থাও যুক্ত রয়েছে। ফলে দিন দিন পাহাড়ে কৃষির পরিধি বাড়ছে। এমন সামাজিক বনায়নের ফলে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন পরিবেশবিদরা।
বান্দবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়ন। নানা প্রজাতির গাছপালা আর প্রাকৃতিক গুল্ম-লতায় আচ্ছাদিত এ পাহাড়ি জনপদ। প্রকৃতির সৌন্দর্য্য আর রহস্য লুকিয়ে আছে পাহাড়ের কোনায় কোনায়। এ যেন প্রকৃতিতে আধুনিকতার ছোঁয়া। পাহাড়ের চূড়ায় রোপন করা আছে বিদেশি জাতের আমের চারা। স্থানীয়রা জানান, শুধু আমের চারাই নয়, দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির বনজ আর ফলজ গাছের পাশাপাশি পাহাড়ে চাষ হচ্ছে ঔষধি গাছও।
পাহাড়ে যত গাছে কাটা হচ্ছে, রোপন করা হচ্ছে না তত চারা। ফলে কৃত্রিম বনায়নের মাধ্যমে একদিকে যেমন প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা হচ্ছে, অন্যদিকে অর্থিকভাবেও লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শফিউল্লাহ বলছেন, এত গাছপালা, লতাপাতা থাকার পরও পাহাড়ে কৃত্তিম বনায়নের উপযোগ ফুরিয়ে যায়নি। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্যই কৃত্রিম বনায়ন প্রয়োজন। আর পরিবেশবিদ এবং বন সংরক্ষকরা বলছেন, বনায়নের ফলে জীববৈচিত্র সৃষ্টি হচ্ছে, কমছে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব।
/এডব্লিউ
Leave a reply