আগ্রাসন শুরুর পর ইউক্রেনে গেলো দুই দিনে সবচেয়ে বেশি হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। একের পর এক দূরপাল্লার মিসাইলের আঘাতে কেঁপে ওঠে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহর। দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে কেএইচ–১০১ ক্যালিবারের মতো অত্যাধুনিক মিসাইল। লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল আঘাত হেনে বিশ্ববাসীকে নিজের শক্তিমত্তা দেখাচ্ছে পুতিন বাহিনী। খবর রয়টার্স ও এপির।
ধ্বংসস্তূপ দেখেই বোঝা যায় রুশ সেনাদের ছোড়া মিসাইলের সক্ষমতা কতোটা ব্যাপক। কিয়েভ, খারকিভ, জাপোরিঝিয়াসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন শহর বহন করছে রুশ মিসাইলের ধ্বংসচিহ্ন। একযোগে ভূমি, জল ও আকাশ— তিন জায়গা থেকেই ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে পুতিন বাহিনী। নির্ভুল নিশানায় দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় যেন নিজেদের সক্ষমতা দেখালো রাশিয়া।
কিয়েভের দাবি, কালিবার, ইসকান্দার, কেএইচ–১০১ ও কেইচ-৫৫৫ এই চার ধরনের মিসাইল ছুড়েছে রুশ সেনারা। এসব ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে কৃষ্ণসাগর ও কাস্পিয়ান সাগর থেকে।
কৃষ্ণসাগর ইউক্রেনের পূর্ব সীমান্তে হলেও কাস্পিয়ান সাগরের অবস্থান দেশটির আশপাশে নয়। ৯০০ কিলোমিটার দূরের কাস্পিয়ান সাগর থেকে ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।
কেএইচ–১০১ ও কেএইচ–৫৫৫, এ মিসাইল দুইটি তিন থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুও ধ্বংসস্তূপে পরিণত করতে সক্ষম। এর আগে, সিরিয়া যুদ্ধে মিসাইল দুইটির ব্যবহার হয়েছিল। সাধারণত, টিইউ-৯৫এমএস, টিইউ-১৬০ বোমারু বিমান ও সুখই এসইউ-৩৪ জঙ্গি বিমানের মাধ্যমে নিক্ষেপ করা হয় এ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র।
অন্যদিকে, সমুদ্র থেকে নিক্ষেপ করা হয়েছে কালিবার মিসাইল। বিধ্বংসী এ ক্ষেপণাস্ত্র অন্তত সাড়ে চার হাজার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। প্রকারভেদে বহন করতে পারে ৪০০ থেকে ৫০০ কেজি বিস্ফোরক। ভূমি থেকেও মিসাইল ছুড়েছে রাশিয়া। ইস্কান্দার নামের স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক এ মিসাইল এর আগে রাশিয়া-জর্জিয়া যুদ্ধ, সিরিয়া যুদ্ধ ও নাগোরনো-কারাবাখ যুদ্ধেও ব্যবহার করা হয়েছে।
গেলো দুই দিনে মিসাইল হামলায় রাশিয়ার ব্যাপক সফলতা প্রশ্নবিদ্ধ করেছে ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে। আর তাই এরইমধ্যে দেশটিকে আরও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
/এমএন
Leave a reply