প্রথমে মিষ্টি কথায় ভুলিয়ে নেয়া হচ্ছে সৌদি আরব। পরদিন থেকেই তার ওপর নেমে আসে অমানসিক নির্যাতনের খড়গ। এরপর পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি। মুক্তিপণের টাকা পেলে এক সপ্তাহের মধ্যেই পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে। সৌদি আরবে এমনই এক ভয়ংকর ফাঁদ পেতেছে গোপালগঞ্জের তারা খান। যমুনার অনুসন্ধান বলছে এক তারা খানের ফাঁদে নিঃস্ব হয়েছে বহু যুবক।
সৌদি আরব গিয়ে মাত্র সাত দিনের মাথায় মুক্তিপণের টাকা দিয়ে দেশে ফিরতে বাধ্য হয় নোয়াখালীর ইমরান। দেশে ফিরে ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। এখন বাড়ি ফিরেছেন। কিন্তু একা একা হাটতে পারেন না। ইমরানের সাথে একই ফ্লাইটে এমন ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশে ফিরেছে আরও কয়েকজন। তাদের মধ্যে মধ্যে রয়েছে নাঈম গাজী ও নয়ন গাজী। তাদের বাড়ি গোপালগঞ্জে।
কে নিলো মুক্তিপণের টাকা, সৌদি আরবে নির্যাতনই বা কারা করলো এবার সেগুলো অনুসন্ধানের পালা। সবার কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে দেখা গেছে, সবগুলো ভিসা প্রসেসিং করেছে ঢাকার মধুমতি ওভারসিজ। আর সৌদি থেকে ভিসাগুলো পাঠিয়েছে তারা খান নামের একজন।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে কে এই তারা খান। যমুনার অনুসন্ধান বলছে, তারা খানের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জে। সৌদিতে থাকেন প্রায় ২৪ বছর যাবত। যদিও তার আসল নাম তারা খান না। তার পাসপোর্ট ঘেঁটে দেখা গেছে, তার প্রকৃত নাম হুমায়ুন কবির খান। তারা খান নামে সৌদির দাম্মামে আদম ব্যবসা ও মুক্তিপণ আদায়ের ভয়ানক এই চক্র গড়ে তুলেছেন তিনি। প্রতিনিয়ত যুবকদের টার্গেট করে সৌদি নিচ্ছে আর এক সপ্তাহের মধ্যে মুক্তিপণ আদায় করে পাঠিয়ে দিচ্ছে দেশে। আর বাংলাদেশে তার কর্মকাণ্ড দেখাশোনার দায়িত্ব স্ত্রী ফাতেমার। যদিও ফাতেমার দাবি, তিনি এসবের কিছুই জানেন না।
এ বিষয়ে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো বিএমইটি কর্তৃপক্ষ বলছে, অভিযোগ পেলে এদের সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এটিএম/
Leave a reply