আলমগীর হোসেন:
বড় হচ্ছে সিন্ডিকেট তালিকা। ২৫ জন জনশক্তি রফতানিকারক মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো শুরু করলেও এখন এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে একশ জনে। সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে টানা আন্দোলনকারীরাও এখন একই চক্রের সদস্য। সাধারণ জনশক্তি রফতানিকারকদের অভিযোগ, ভোটারদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণের তালিকায় নিজেদের নাম লিখিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি, বায়রার নির্বাচিত কমিটি।
গত বছরের ডিসেম্বরে মালয়েশিয়ার সাথে সমঝোতা চুক্তি হয়। আর কর্মী প্রেরণ শুরু হয় এ বছরের আগস্টে। মূলত সিন্ডিকেটের কারণেই এতদিন ঝুলে ছিল মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার।
২৫ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই আন্দোলন নামে বায়রার একটি পক্ষ। প্রতিবাদ, বিক্ষোভ মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন সবকর্মসূচিতেই দাবি ছিল সবার জন্য উন্মুক্ত করার। নির্বাচনেও প্রতিশ্রুতি ছিল কর্মী প্রেরণে সবার সমান অধিকার নিশ্চিত করার। কিন্তু ভোটে জিতেই সিন্ডিকেট ভাঙার বদলে নিজেদের তালিকায় যুক্ত করেছেন কার্যনির্বাহী কমিটির বেশিরভাগ সদস্য। এটিকে বিশ্বাস ঘাতকতা হিসেবে দেখছেন সাধারণ সদস্যরা।
জনশক্তি রফতানিকারক আহম্মেদ উল্লাহ বলছেন, বর্তমান কমিটির প্রতিশ্রুতি ছিল, তারা সিন্ডিকেট বন্ধ করবেন। তবে তারা তা করেনি। এখন তার উল্টোটা দেখ যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণে যুক্ত হয়েছেন বায়রার নবনির্বাচিত কমিটির মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান নিজেও। যদিও এটিকে আর সিন্ডিকেট বলতে রাজি নন তিনি। তার মতে, ২০ থেকে ২৫ জন হলে সেটাকে সিন্ডিকেট বলা যায়, ১০০ জন হলে তাকে আর সিন্ডিকেট বলা যায় না। আগের দাবিতে অটল থাকলেও সমঝোতা চুক্তির পরিবর্তন না হলে খুব বেশি কিছু করার সুযোগ নেই বলেও জানান তিনি।
বায়রার সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোবারক উল্লাহ শিমুল বলছেন, নির্বাচনে জেতার জন্যই তারা সিন্ডিকেট বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। একে অপকৌশলও বলছেন এই জনশক্তি রফতানিকারক।
নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সিন্ডিকেট বিরোধী অবস্থানে অটল থাকার কথা জানান বায়রার যুগ্ম-মহাসচিব এম টিপু সুলতান। সাধারণ সদস্যদের স্বার্থ রক্ষায় ব্যর্থ হলে পদে থাকার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার কথাও জানান তিনি।
সিন্ডিকেটের তালিকা বড় হলেও কর্মী প্রেরণে অভিবাসন ব্যয় কমার সম্ভাবনা নেই মন্তব্য করেন জনশক্তি রফতানিকারকরা।
/এডব্লিউ
Leave a reply