ইউক্রেনে চলছে রুশ ড্রোন হামলা; আর তাতে পশ্চিমা বিশ্বের কাঠগড়ায় ইরান। কিয়েভ ও পশ্চিমা শক্তির অভিযোগ, ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থানে সম্প্রতি যেসব ড্রোন মিসাইল এবং ড্রোন রকেট ছুড়েছে রাশিয়াকে সেগুলো সরবরাহ করেছে ইরান।
দেশটির ওপর নতুন করে অবরোধ আরোপের আহ্বানও জানিয়েছে কিয়েভ। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে তেহরান। খবর রয়টার্স, এপির।
মূলত, গেলো কয়েকদিন ধরেই কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকায় ড্রোন হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। এরপরই এসব ড্রোন নিয়েই নতুন করে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
কিয়েভের দাবি, ইরান থেকে এসব ড্রোন সংগ্রহ করেছে মস্কো। ইউক্রেনে হামলার জন্য রাশিয়াকে সহায়তা দেয়ায় তাই ইরানকে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি কিয়েভের। একই অভিযোগ ইউরোপের নেতাদেরও।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবা বলেন, ইতিহাসে আমিই প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে কিনা, বাংকারে বসে বিশ্ববাসীর উদ্দেশে কথা বলছি। এই মুহূর্তেও ড্রোন হামলা হচ্ছে এই ভবনের আশেপাশে। মস্কোকে এসব অস্ত্র সরবরাহ করছে তেহরান। আমরা চাই ইরানের ওপর নতুন করে অবরোধ আরোপ করা হোক।
এদিকে, জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যালেক্সান্ডার শ্যালেনবার বলেন, এটা সত্য যে, ইউক্রেনে যে ড্রোন ছোড়া হচ্ছে সেগুলো ইরানি মডেলের। ইরানের পক্ষ থেকে এটা স্পষ্ট আগ্রাসন। ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানো রাশিয়াকে যারা সহায়তা দেবে তারাও একই ধরনের অপরাধী।
অভিযোগ উঠেছে, শাহেদ ওয়ান থার্টি সিক্স নামের এই ড্রোন রাশিয়াকে সরবরাহ করেছে ইরান। মূলত এটি ড্রোন চালিত রকেট। ১১ ফুট দীর্ঘ এই ড্রোন রকেট ৪০ কেজির বেশি বিস্ফোরক বহন করতে পারে। যা নিখুঁতভাবে লক্ষ্যবস্ততে আঘাত হানতে সক্ষম। ইরানের অস্ত্রাগারে রয়েছে কয়েক ধরনের ড্রোন। গুপ্তচরবৃত্তি, নজরদারি আর হামলায় এসব ড্রোন ব্যবহৃত হয়। এরইমধ্যে কিয়েভ এবং পশ্চিমের অভিযোগ অস্বীকার করেছে তেহরান।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কেনানি বলেন, ইরান সব সময়ই যুদ্ধের বিরুদ্ধে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের জন্যই পশ্চিমা শক্তি এসব মিথ্যাচার করছে। আর তা প্রচার করছে পশ্চিমের গণমাধ্যম।
নিজস্ব প্রযুক্তির পাশাপাশি ইরানি সমরাস্ত্রের অন্যতম উৎস রাশিয়া। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও গোলন্দাজ বাহিনীর অনেক অস্ত্রই রুশ প্রযুক্তিতে তৈরি।
/এমএন
Leave a reply