বয়স মাত্র ১৬! বাংলাদেশের আইনে বিবেচনা করলে এই বয়সী ছেলেমেয়েদের বলা হয় অপ্রাপ্তবয়স্ক। কিন্তু এই বয়সেই এবারের অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ খেলছেন এক ক্রিকেটার। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের অলরাউন্ডার আয়ান। পুরো নাম আয়ান আফজাল খান। জন্ম ২০০৫ সালে ভারতের গোয়ায়। বেড়ে উঠেছের আরব মরুর দেশে। সেখানেই ক্রিকেটের হাতেখড়ি।
ক্রিকেটের বিশ্ব আসরে সুযোগ পাওয়া সহজ বিষয় নয়। তবে সেই কঠিন কাজই সহজে করে ফেললেন ভারতীয় বংশদ্ভুত এই ক্রিকেটার। বয়সভিত্তিক খেলার বয়সেই খেলে ফেললেন আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে। নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নেমে এই ইতিহাস গড়েন তিনি। আজ (১৮ অক্টোবর) আয়ান খেলছেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। নিজের বয়সের তুলনায় খেলায় বেশ এগিয়েই গিয়েছেন আয়ান।
আয়ানের আগে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে কম বয়সে বিশ্বকাপ খেলেছিলেন পাকিস্তানী পেসার মোহাম্মদ আমির। তিনি প্রথম ম্যাচ খেলেন ১৭ বছর ৫৫ দিন বয়সে। আর আয়ান মাঠে নামলেন মাত্র বয়স ১৬ বছর ৩৩৫ দিন বয়সে।
ক্রিকেটে আয়ানের হাতেখড়ি ছোটবেলাতেই। মাত্র ৫ বছর বয়সে বাবার কাছেই তালিম নেন ব্যাট-বলের। বাবাও স্বপ্ন দেখতেন, ছেলে একদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলবে। সে স্বপ্ন পূরণে বেশি অপেক্ষা করতে হলো না তার। গেল সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় আয়ানের। সেখানে দুই ম্যাচ খেলে ভালো ফলও করেছেন। এই বাঁহাতি স্পিন অলরাউন্ডার বল হাতে নিয়েছিলেন তিন উইকেট আর ব্যাট হাতে এক ইনিংসে করেন ১৭ বলে ২৫ রান।
এবারই নয় বরং, গেল অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেও বড় ভূমিকা ছিল আয়ানের। সেবারই ক্রিকেট অনুসারীদের নজর কেড়েছিলেন তিনি। প্লেট পর্বে সেমিফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যুব দলের বিপক্ষে ৯৩ রানের দারুণ ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।
বিশ্বকাপে নিজের উপস্থিতি নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত এ তরুণ। আইসিসির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক ভিডিওতে আয়ান বলেন, এত অল্প বয়সে বিশ্বকাপ খেলাটা আমার জন্য স্বপ্ন। এমসিজিতে দাঁড়ানোটাও আমার জন্য স্বপ্ন। ক্রিকেট নিয়ে আমার প্রথম স্মৃতি ২০১১ সালের বিশ্বকাপ। সেখানে এমএস ধোনি হেলিকপ্টার শটে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। ওই টুর্নামেন্টে ভারতের জয় আমাকে অনুপ্রেরণা দিয়েছিল, যা আমাকে আমার জাতির জন্য কিছু করার এবং বাবা-মাকে গর্বিত করার প্রেরণা জুগিয়েছে।
এএআর/
Leave a reply