ছবি: সংগৃহীত
হোবার্টে দারুণ সূচনার পর হুট করে সেই যে এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের ইনিংস, তা আর দিশা খুঁজে পায়নি শেষ পর্যন্ত। তবে আফিফের লড়াই ও শেষদিকে মোসাদ্দেকের ক্যামিওতে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান সংগ্রহ করেছে সাকিব বাহিনী।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ টু’র ম্যাচে হোবার্টে ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও সৌম্য সরকার। দলকে বহু কাঙ্ক্ষিত ভালো সূচনাও এনে দিয়েছিলেন এই দুই বাঁহাতি। রান রেট ৮’র বেশি রেখে শান্ত-সৌম্য ৫ ওভারে তুলে ফেলেছিলেন ৪৩ রান। কিন্তু ব্যক্তিগত ১৪ রানে আউট হন সৌম্য। তারপর নিয়মিত বিরতিতে আউট হয়েছেন শান্ত, লিটন ও সাকিব। নাজমুল শান্ত ফিরেছেন ২০ বলে ২৫ রান করে। লিটন দাসকেও আজ চেনা সাবলীল ব্যাট করতে দেখা যায়নি। ভ্যান বিকের বলে মিড অফে হাফ শট খেলে সফট ডিসমিসাল হয়েছেন নির্ভরযোগ্য এই টপ অর্ডার।

তবে নিজেকে কিছুটা দুর্ভাগা ভাবতেই পারেন সাকিব আল হাসান। শারিজ আহমেদের প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি উইকেটের শিকার হয়েছেন তিনি বাউন্ডারি লাইনে বাস ডি লিডের দারুণ এক ক্যাচে পরিণত হয়ে। ইয়াসির রাব্বিরও সাজঘরে ফেরেন ভ্যান মিকরেনের বলে বোল্ড হয়ে। এরপর আফিফ কিছু সময় টেনে নিয়েছেন দলীয় ইনিংস। ২ চার ও ২ ছয়ের সাহায্যে ২৭ বলে ৩৮ রান করা এই বাঁহাতি আউট হয়েছেন ডি লিডের বাউন্সারে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে।
তবে নুরুল হাসান সোহানের ডিসমিসালে ব্যাটারের মনোসংযোগ বিয়ে কথা আসতে পারে। ডিপ স্কয়ারে লেগে ফিল্ডার থাকা সত্ত্বেও স্কুপ শট খেলে ক্যাচ প্র্যাকটিস ম্যাচের এমন সময় না করালেও পারতেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তবে এই সংগ্রহের জন্য মোসাদ্দেক অবশ্যই কৃতিত্ব পাবেন। শেষে তার ১২ বলে ২০ রানের ক্যামিও না এলে এই মাঝারি সংগ্রহও পেতো না বাংলাদেশ। নেদারল্যান্ডসের পক্ষে ভ্যান মিকরেন ও ডি লিডে নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।
/এম ই
Leave a reply