তৌহিদ হোসেন:
চাহিদা কমিয়ে সরবরাহ বৃদ্ধি, এই তত্ত্ব মেনেই মন্দা মোকাবেলা করতে চায় সরকার। এজন্য নতুন কৌশলপত্র ঠিক হয়েছে। প্রকল্পে অপচয়ের লাগাম টেনে ধরতে জোর দিচ্ছে পরিকল্পনা বিভাগ।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানালেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। তারপরও লম্বা সময় কৃচ্ছ্বতা সাধন করতে হবে বাংলাদেশকে। অন্যদিকে, আইএমএফ এর ঋণের সুফল দেখার অপেক্ষায় গবেষকরা।
এদিকে, বিশ্বজুড়ে খাদ্যমন্দার আশঙ্কায় প্রায় সব অঞ্চলে বেড়েছে পণ্য ও সেবার দাম। আমদানি কমাতে উঠে পড়ে লেগেছে সবাই। আবার নিজস্ব চাহিদা মেটাতে চাল, গম, ভুট্টা, পোল্ট্রিসহ নানা পণ্য রফতানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে অনেক দেশ। আগামী বছরে খাদ্য সংকটের এই আঁচ লাগছে বাংলাদেশেও।
অর্থনীতির হিসাবে টানা দুই বছর কোনো দেশে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হলে মন্দা বলা হয়। বাংলাদেশ সে আশঙ্কার ধারে-কাছে নেই। তবে ডলারের রিজার্ভ এখনও বড় মাথাব্যথা। আমদানি ব্যয়ে লাগাম টানলেও খরচ বেড়েছে জ্বালানি আমদানিকে ঘিরে। এসব জটিলতার মাঝেই প্রশ্ন সরকারি প্রকল্পের ভবিষ্যত কী? কেননা আগের চেয়ে একনেক সভার পরিধি কমেছে। প্রকল্প অর্থায়নে কৃচ্ছতা সাধন করছে পরিকল্পনা বিভাগ। কিন্তু এ কারণে কী গুরুত্বপূর্ণ খাতে বাজেট বরাদ্দ বদলাবে?
এম এ মান্নান বলেন, আমাদের খাবার দরকার। তাই কৃষিতে ব্যয়টা ধরে রাখতে হবে। স্কুল-কলেজেও ব্যয় ধরে রাখতে হবে।
মন্দা মোকাবেলার কৌশল নির্ধারণে কাজ করছে সরকারের একাধিক দফতর। মূল লক্ষ্য রফতানি পণ্যের নতুন বাজার তৈরি। সাথে মেগা প্রকল্পের বাস্তবায়ন করতে হবে জোরেশোরে। পরিধি বাড়ানো হবে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব বা পিপিপি এর। সাথে বিদেশি ঋণ ও কর আহরণ নিয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে অর্থ বিভাগ।
সিপিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, বাংলাদেশে শিল্পায়ন বাড়ছে, এটি ভালো। কিন্তু একই সাথে আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো, আমদানির ক্ষেত্রে জ্বালানির মতো যেসব বিষয়ে নির্ভরতা তৈরি হয়েছে সেগুলো কীভাবে কমিয়ে আনতে পারি তা।
উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে দেশে খাদ্য কেনার মতো ৫ মাসের রিজার্ভ আছে।
/এমএন
Leave a reply