আলোচিত মালয়েশিয়ান বিমান ফ্লাইট এমএইচ১৭ দুর্ঘটনার রায় ঘোষণা আগামীকাল। বৃহস্পতিবার এই রায় ঘোষণা করবে নেদারল্যান্ডসের আদালত। ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই নেদারল্যান্ডস থেকে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে পূর্ব ইউক্রেনে ২৯৮ আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত হয় বিমানটি। বিমানের নিহত যাত্রীদের মধ্যে ১৬৯ জন ছিলেন ডাচ। বাকিরা ব্রিটিশ। খবর এপির।
এ দুর্ঘটনার পর বিশেষ তদন্ত কমিশন গঠন করে নেদারল্যান্ডস সরকার। তদন্তে উঠে আসে ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য রুশ বাক ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিধ্বস্ত হয় বিমানটি। দায়ী করা হয় তিন রুশ এবং এক ইউক্রেনীয় নাগরিককে। যাদের মধ্যে রুশ গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাও রয়েছেন। ২০২০ সালে শুরু হয় ডাচ আদালতে বিচার।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে এই রায় নিয়ে নতুন করে উত্তেজনার পারদ চড়তে পারে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে।
ইউনিভার্সিটি অব অ্যামস্টারডামের অধ্যাপক মেরিক ডে হুন বলেন, যেসব প্রমাণ তুলে ধরা হয়েছে, সেগুলো অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। প্রতিটি অভিযোগ ও যুক্তির পক্ষে প্রমাণ তুলে ধরা হয়েছে। বিবাদী পক্ষ যেসব পাল্টা যুক্তি তুলে ধরেছে সেগুলোও খুব একটা কার্যকর নয়।
তবে এ ঘটনায় দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক দিমিত্রি ওরেস্কিন বলেন, বাক এমন ক্ষেপণাস্ত্র, যেটার নিয়ন্ত্রণ আছে শুধু রাশিয়ার কাছেই। ইউক্রেন থেকে সেটা ছোড়ার অর্থ হলো পরিকল্পতিভাবে এই হামলা হয়েছে। কিন্তু তা প্রমাণ করতেই লেগেছে ৮ বছর। নিঃসন্দেহে দোষীদের শাস্তি দিতে আরও সময়ক্ষেপণ করা হবে। আর রাশিয়ার বিরুদ্ধে রায় গেলেও সেটাকে পুতিন প্রশাসন ষড়যন্ত্র হিসেবেই আখ্যা দেবে। ফলে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে এই রায় আরও উত্তেজনা সৃষ্টি করবে।
যদিও শুরু থেকেই ডাচ অভিযোগকে অগ্রহণযোগ্য আখ্যা দিয়ে আসছে মস্কো।
/এমএন
Leave a reply