‘লাতিন ছন্দ’ পতনের কারণ কী?

|

বিশ্বকাপ মানেই লাতিন দলগুলো নিয়ে বাড়তি উন্মাদনা। উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে আয়োজক দেশ থেকে সারা বিশ্বে। সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপীয়ান দলগুলোই হচ্ছে বিশ্বসেরা। কিন্তু, তারপরও বড় অংশের ভক্তরা বুঁদ ব্রাজিল-আর্জেন্টিনায়। রাশিয়া বিশ্বকাপেও চিত্রটা একই। কিন্তু গেল ৪ আসরের মতো এবারো হতাশ লাতিন দেশগুলো। শেষ ষোলো থেকে আর্জেন্টিনা আর কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ব্রাজিল-উরুগুয়ের বিদায়ে কিছুটা হলেও রঙ হারিয়েছে বিশ্বকাপ। বিপরীতে সাফল্য যাত্রা অব্যাহত রেখেছে ইউরোপীয় দলগুলো। এ বছরসহ টানা ৫ম বিশ্বকাপ ট্রফি পাচ্ছে ইউরোপের কোনো দেশ।

২০০২ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ব্রাজিল। তারপর থেকেই বিশ্বকাপ লাতিন ফুটবলের জন্য এক আক্ষেপের নাম। অথচ একসময় সমান ৯টি করে শিরোপা জয় নিয়ে জমাট দ্বৈরথ ছিলো লাতিন আর ইউরো ফুটবলের।

কোথায় পিছিয়ে পড়ছে মেসি-নেইমারদের শৈল্পিক ফুটবল? ফুটবল বোদ্ধারা বলছেন, শৈল্পিক ফুটবলে কৌশলগত পরিবর্তন আনতে না পারা ও ক্লাব ফুটবল উন্নত করতে না পারার খেসারত গুনছে লাতিন দেশগুলো। বিপরীতে পাওয়ার ফুটবলের সঙ্গে শৈল্পিক ফুটবলের মিশ্রণ ও উন্নত ক্লাব ফুটবলে এগিয়ে যাচ্ছে ইউরোপীয় দেশগুলো।

এবারের আসরে ইংল্যান্ডের গোটা স্কোয়াডের সবাই খেলেন ইপিএলে। জার্মানরাও গেলবার শিরোপা জয় করে বায়ার্ন মিউনিখের অধিকাংশ খেলোয়াড়কে একাদশে রেখে। উল্টো দিকে লাতিন তারকারা বিক্ষিপ্তভাবে খেলেন বিভিন্ন লিগে। শক্তিশালী ঘরোয়া ফুটবল আর কৌশলে পরিবর্তন না আনলে বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে লাতিন দেশগুলোর আক্ষেপের সুর দীর্ঘ হবে-এমনটাই মত ফুটবল বিশ্লেষকদের।

যমুনা অনলাইন: এফএম/টিএফ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply