পঞ্চগড়ে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ: পৃথক ৫ মামলায় আসামি প্রায় ২ হাজার

পঞ্চগড় প্রতিনিধি:

পঞ্চগড়ে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে পুলিশের পক্ষ থেকে ৫টি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। ৫ মামলায় ৮১ জনের নামীয়সহ অজ্ঞাত প্রায় দেড় থেকে ২ হাজার নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।

রোববার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড় সদর থানায় ৫ জন উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাদী হয়ে পৃথকভাবে এ ৫টি মামলা দায়ের করেন। তবে পুলিশ শনিবার রাত থেকেই অভিযান চালিয়ে দুই জামাত নেতাসহ ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে। মামলা ও আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পঞ্চগড় পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা।

পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিয়া জানান, সদর থানার উপ-পরিদর্শক রাশেদুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাধা প্রদান, দাঙ্গা সৃষ্টি, সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ওপর মারপিটের অভিযোগে এজাহার নামীয় ২২ জনসহ ১১০০-১২০০ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

তাদের মধ্যে উপ-পরিদর্শক সাইদুল রহমান বাদী হয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ১৩ জনের নামীয়সহ ১৫০-২০০ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। উপ-পরিদর্শক ভবেশ চন্দ্র রায় বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাধা প্রদান, দাঙ্গা সৃষ্টি, সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ওপর মারপিট, সরকারি কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগে ১৬ জনের নামীয়সহ ১৪৫-১৫০ জনের অজ্ঞাত নামে মামলা দায়ের করেন। একই অভিয়োগে উপ-পরিদর্শক আলতাব হোসেন সরকার বাদী হয়ে ১৬ জনের নামীয় ও অজ্ঞাত ১২৫-১৩৫ আসামি করে মামলা দায়ের করেন এবং উপ-পরিদর্শক মাসুদ রানা বাদী হয়ে ১৬ জনের নামীয় ও অজ্ঞাত ১৫৫-১৬০ আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।

এদিকে জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ বলেন, আমাদের ভাই মারা গেছে। কিছুক্ষণ পর জানাজা শেষে লাশ দাফন করা হবে। এরপর আমরা দলীয়ভাবে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো মামলা করবো, কি করবো না।

এর আগে, শনিবার বিকেলে দলীয় কর্মসূচি অনুযায়ী পঞ্চগড়ে বিএনপির কার্যালয় থেকে গণমিছিল বের করে নেতাকর্মীরা। তবে দুপুরে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে আব্দুর রশিদ আরেফিন নামে এক বিএনপি নেতার মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্ত শেষে রোববার বিকেলে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। তার গ্রামের বাড়ি জেলার বোদা উপজেলা ময়দানদিঘী ইউনিয়নের হরিপুর এলাকায় বিকেল ৪টায় এই বিএনপি নেতার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

এসজেড/