কিছুদিনের মধ্যেই মাঝের স্টেশনগুলোতেও থামবে মেট্রো, শীঘ্রই মিলবে পূর্ণাঙ্গ সুফল

|

মেট্রোরেলের একাংশ চালু হলেও এখনই যাতায়াতের পুরোপুরি সুফল পাচ্ছেন না মিরপুর এলাকার অনেক যাত্রী। চাকরিজীবী বেশিরভাগেরই কর্মস্থল কারওয়ান বাজার কিংবা পল্টন-মতিঝিলের দিকে। কিন্তু, মেট্রোরেল চলছে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত। মাঝের স্টেশনে ওঠার অপেক্ষাও শেষ হবে আরও কিছুদিন পর। আর মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোর সুফল পেতে অপেক্ষা করতে হবে আরও এক বছর।

বৈদ্যুতিক ট্রেনের যুগে এখন বাংলাদেশ। যার জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে দীর্ঘদিন। মাথার ওপর দিয়ে যখন যানজটহীন গতিতে ছুটছে ট্রেন, তখনও বাসের যাত্রী হয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে মিরপুরের বাসিন্দা শারমিন রহমানকে। কেননা, কারওয়ান বাজারে কর্মস্থল হওয়ায় আপাতত বাসই ভরসা শারমিনের। তবে, আগের মতো আর যানজট নেই মিরপুর সড়কে। তাই কিছুটা স্বস্তি মনে। কিন্তু প্রয়োজনে মেট্রোতে উঠতে না পারায় কষ্টের আক্ষেপও আছে।

দেশের প্রথম মেট্রোরেল নির্মাণের এক প্রবীণ স্বাক্ষী আবুল খায়ের সাহেব। চোখের সামনে তিলে তিলে গড়ে ওঠা মেট্রোরেলে ওঠার অপেক্ষায় তিনিও। কিন্তু, প্রয়োজন সত্ত্বেও তিনিও মেট্রোতে উঠতে পারছেন না এখনই। কিন্তু, গত ছয় বছরের যে দুর্ভোগ তাকে সহ্য করতে হয়েছে তা থেকে মুক্তি মেলায় তিনি খুশি অনেক। আশা করছেন দ্রুতই পুরোপুরি মিলবে মেট্রোর সুফল।

এরকম অনেক শারমিন রহমান কিংবা আবুল খায়েরকে প্রয়োজনে মেট্রোরেলে ভ্রমণের স্বাদ নিতে অপেক্ষা করতে হবে পূর্ণাঙ্গভাবে মেট্রো চালু হওয়া পর্যন্ত। তবে, বাসে চেপে কর্মস্থলে যাতায়াত করতে হলেও আগের মতো আর যানজটে পড়তে হবে না এসব যাত্রীদের। সে সুখও তো একেবারে কম না!

প্রসঙ্গত, মিরপুর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত বাসে যেতে সাধারণত সময় লাগে আড়াই ঘণ্টা। কোনো কোনো সময় তো অর্ধেক দিন সড়কেই থাকতে হয় এ রুটের বাসযাত্রীদের। এক বছর পর পূর্ণ গতিতে মেট্রোরেল চালু হলে সকল কষ্টের অবসান হবে বলে প্রত্যাশা রাজধানীর মিরপুর এলাকার মানুষের।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply