সহসা শেষ হবে না রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ, আরও প্রস্তুতি নেয়া উচিত ইউরোপ ও পশ্চিমাদের: ন্যাটো

|

ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ।

সহসাই শেষ হবে না রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ। তাই, কিয়েভকে সহায়তার জন্য দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তুতি থাকা উচিত ইউরোপ এবং পশ্চিমা শক্তির- এমন সতর্কতা জানিয়েছেন সামরিক জোট ন্যাটোর মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ। এদিকে, সোমবার (২ জানুয়ারি) নতুন করে কিয়েভে হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনের ড্রোন নির্মান কারখানা লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়েছে বলে জানা গেছে। খবর রয়টার্সের।

ইউক্রেনের বাখমুত যেনো এক ভূতুড়ে নগরী। এ শহরের যেদিকেই চোখ যায় এখন শুধুই ধ্বংসস্তুপ। আবাসিক, বাণিজ্যিক কিংবা সামরিক, রুশ বর্বরতা থেকে রেহাই পায়নি কিছুই। এ শহরের বাসিন্দারা বলছেন, সবকিছু এখন ঈশ্বরের হাতে ছেড়ে দিয়েছি। ৫ মিনিট পর কি হবে জানি না। হয়তো মারা যেতে পারি, আবার বেঁচেও থাকতে পারি।

এদিকে, সোমবার কিয়েভে আবারও ড্রোন হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। মস্কোর দাবি, সমরাস্ত্র তৈরির কয়েকটি কারখানাকে লক্ষ্য করে চালানো হয় এ অভিযান।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেঙ্কোভ এ প্রসঙ্গে বলেন, ইউক্রেনের সমরাস্ত্র কারখানাগুলোই এ অভিযানের লক্ষ্য ছিলো। বিশেষ করে, একটি ড্রোন নির্মাণ কারখানা লক্ষ্য করে চালানো হয় এসব অভিযান। কারণ, এসব ড্রোন দিয়েই রুশ ভূখণ্ডে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হচ্ছে। এর পাশাপাশি, বিভিন্ন সামরিক অবস্থানেও অভিযানব চালানো হয়েছে।

এদিকে, কিয়েভ বলছে- তাদের পাল্টা প্রতিরোধে ধ্বংস করা হয়েছে অন্তত ৪৫টি রুশ ড্রোন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি এ প্রসঙ্গে বলেন, নজিরবিহীন এক হামলা চালানো হয়েছে। এক রাতেই শতাধিক ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে এদিন। হামলার পরপরই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলি। অন্তত ৪৫টি শহিদ ড্রোন ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছেন আমাদের বাহিনীর সদস্যরা। দেশবাসীকে বলছি, আপনারা আমাদের সামরিক বাহিনীর ওপর ভরসা রাখুন। আমরা আমাদের মাতৃভূমির একটি ইঞ্চিও দখল হতে দেবো না।

এদিকে, সামরিক জোট ন্যাটো বলছে- দীর্ঘমেয়াদি হবে ইউক্রেনে রুশ অভিযান। এ লক্ষে আরও লম্বা সময়ের জন্য কিয়েভকে সহায়তা অব্যাহত রাখতে হবে পশ্চিমা শক্তির।

ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ বলেন, সময়ের সাথেসাথে ইউক্রেনে সেনা সংখ্যা বাড়াচ্ছে রাশিয়া। এ ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। যদিও পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। তবে, এটা স্পষ্ট যে খুব সহজেই থামবে না এ লড়াই। তাই, ইউরোপ এবং পশ্চিমা দেশগুলোর আরও লম্বা সময়ের জন্য প্রস্তুতি নেয়া উচিত। যাতে দীর্ঘ সময় তারা কিয়েভকে সহায়তা অব্যাহত রাখতে পারে।

এদিকে কিয়েভে হামলার পর ইউক্রেনে শান্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনা হয়েছে ভ্যাটিকানে।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply