তাইওয়ান ইস্যুতে আগুন নিয়ে খেলছে বিদেশিরা: চীন

|

চীনের তাইওয়ান বিষয়ক অফিসের মুখপাত্র মা শিয়াওগুয়াং।

তাইওয়ানের স্বাধীনতার পক্ষে যেসব বিদেশি রাষ্ট্র উসকানি দিচ্ছে, তারা মূলত: আগুন নিয়ে খেলছে। এর পরিণাম ভালো হবে না- বলে সতর্কবার্তা দিয়েছে চীন। বুধবার (১১ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নতুন বছরে সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় তারা বদ্ধপরিকর। এদিকে, তাইওয়ানের অন্যতম মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের ভাষ্য, সাম্প্রতিক মহড়ার মাধ্যমে ভূখণ্ড ঘিরে আগ্রাসনের স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে চীন।

নৌঘাঁটি কাওসিয়াংয়ে চলছে তাইওয়ান প্রতিরক্ষা বাহিনীর জোরালো সামরিক মহড়া। দক্ষিণ সমুদ্রাঞ্চল থেকে আগ্রাসন প্রতিরোধে প্রথমবার নিজস্ব উভচর যান প্রদর্শন করয়েছে তাইপে। শুধু তাই নয়, লাইভ ফায়ারিংয়ের পাশাপাশি জল-স্থল ও আকাশপথে তুলে ধরছে নিজেদের সক্ষমতা।

তাইওয়ানকে কৌশলগত পরামর্শ দেয়ায় ন্যাটো ওপর ক্ষুব্ধ শি জিনপিং প্রশাসন। তাই, একে সামরিক প্রশিক্ষণ আখ্যা দিতে নারাজ তাইওয়ান।

তাইওয়ানিজ বিমান বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল উ বং ইয়েং এ প্রসঙ্গে বলেন, এটি কোনো পেশাদার সামরিক প্রশিক্ষণ বা সমন্বয় নয়। বরং, ন্যাটোর আয়োজিত কর্মশালায় একাডেমিক আলোচনা এবং আন্তর্জাতিক-আঞ্চলিক সম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে। আমরা পারস্পরিক কৌশল শিখছি। এর সাথে, সামরিক অভিযানের বিন্দুমাত্র যোগসূত্র নেই।

আর, তাইওয়ানের মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের দাবি- আগ্রাসন চালানোর ফন্দি আঁটছে চীন। সে কারণেই, নানাদিক থেকে তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে বাড়ছে দেশটির উসকানিমূলক আচরণ।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন এ প্রসঙ্গে বলেন, প্রণালীর ওপর চীনের বিমান বাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু তাই নয়, তাইওয়ান ঘিরে বাড়ানো হয়েছে সমরযানের টহলও। বেইজিংকে বলবো- পরিস্থিতি উসকে না দিয়ে, স্বাভাবিক করার চেষ্টা করুন। কারণ, যেকোন মুহুর্তে দেশটি আগ্রাসন চালাতে পারে- তাদের এমন আচরণ স্পষ্ট।

এদিকে, চীনের হুমকি- তাইওয়ানকে স্বাধীন করতে যারা তৎপর; তারা আদতে আগুন নিয়ে খেলছে।

চীনের তাইওয়ান বিষয়ক অফিসের মুখপাত্র মা শিয়াওগুয়াং বলেন, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সামরিক সম্পর্ক জোরালো করেছে তাইওয়ান প্রশাসন। প্রণালীর শান্তি ও স্থিতাবস্থা নষ্ট করাই তাদের লক্ষ্য। সতর্ক করতেই, পাল্টা মহড়া চালাচ্ছে চীন। স্পষ্টভাবে বলছি- তাইওয়ান চীনেরই অংশ। সেটিকে আলাদা করতে বহিঃশক্তির কোনো হস্তক্ষেপ মানবো না। যারা তাইওয়ানের স্বাধীনতার দাবিতে সোচ্চার, তারা মূলত: আগুন নিয়ে খেলছেন।

এর আগে, গত সোমবার (৯ জানুয়ারি) তাইওয়ান ঘিরে চীনের ৫৭টি যুদ্ধবিমান এবং চারটি রণতরী অংশ নেয় মহড়ায়। সাই প্রশাসনের অভিযোগ, এরমধ্যে ২৮টি বিমান লঙ্ঘন করেছে তাদের আকাশসীমা। এ নিয়ে একমাসের ব্যবধানে দ্বিতীয় দফায় বড় পরিসরের সামরিক তৎপরতা চালালো বেইজিং।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply