অভাবনীয় পদ্ধতিতে পানির সংকটের মধ্যেও সফল ফিলিস্তিনের কৃষকরা

|

পানির সংকটের কারণে অভিনব পদ্ধতিতে চাষাবাদ করছেন ফিলিস্তিনের কৃষকেরা। একই পানি ব্যবহার করে চলছে মাছ ও ফলের চাষাবাদ। অ্যাকোয়াপনিক্স নামের এ পদ্ধতিতে গাছের জন্য পানি প্রয়োজনও হয় খুব কম। স্বল্প পানিতে এই চাষাবাদে ভালো ফলনও পাচ্ছেন ফিলিস্তিনি কৃষকেরা। খবর আরব নিউজের।

ফিলিস্তিনি কৃষকদের কাছে এখন সফলতার অনন্য উদাহরণ শাদি আতারা। খুব সামান্য পানিতেই স্ট্রবেরি চাষ করে পেয়েছেন ব্যাপক সফলতা। দখলদার ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কড়াকড়ির কারণে ফিলিস্তিন জুড়েই এখন পানির হাহাকার। নিত্য ব্যবহারের জন্যই যেখানে পানি পাওয়া কঠিন সেখানে চাষের জন্য পানি পাওয়া অসম্ভব ব্যাপার। সেই সংকট কাটাতেই অ্যাকুয়াপনিক্স পদ্ধতির মাধ্যমে খুব সামান্য পানিতেই চলছে চাষাবাদ।

পানি সংকটের মধ্যে চাষাবাদের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে শাদি আতারা বলেন, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ যেটুকু পানি আমাদের দেয় তা দিয়ে দৈনন্দিন কাজ করাই কঠিন। কৃষিকাজ কীভাবে করবো? তাই এই অ্যাকুয়াপনিক্স পদ্ধতি ব্যবহার করছি। এই পদ্ধতিতে মাছ চাষের পানি দিয়েই সবজি চাষ করা হচ্ছে।

অ্যাকোয়াপনিক্স মূলত মাছ ও সবজি চাষের একটি সমন্বিত পদ্ধতি। এ ক্ষেত্রে মাছ বিচরণ করা দূষিত পানি গাছের পুষ্টির যোগানদাতা হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং স্বচ্ছ ও পরিষ্কার পানি হয়ে পুনরায় মাছের ট্যাংকে ফিরে আসে।

এই পদ্ধতিতে কৃষিকাজকে তুলনামূলক সহজ করে দিয়েছে উল্লেখ করে শাদি আতারা বলেন, মাছের মল মিশ্রিত পুকুরের পানি পাইপগুলোর মাধ্যমে সরবরাহ করা হয় গাছের গোড়ায়। সেগুলোই সার হিসেবে কাজ করে। আর গাছে মাটির পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে কয়লা। সেই পানি ফোটায় ফোটায় কয়লার মাধ্যমে পরিষ্কার করে আবারও পুকুরেই পাঠানো হয়। এভাবে সম্পন্ন হয় পুরো প্রক্রিয়া। এতে পানি খুবই কম লাগে। আর ফলনও হয় খুব ভালো।

অ্যাকুয়াপনিক্স পদ্ধতিতে আগের চেয়ে ফলন আরও ভালো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রকৌশলী সামির ফারাহ। প্রতিটি ফল ও সবজির স্বাদও খুব ভালো হয় বলে জানান তিনি। উদ্যোক্তারা বলছেন, প্রচলতি পদ্ধতিতে যেখানে চাষাবাদে খরচ হয় প্রায় ২ হাজার ৮০০ ডলার, সেখানে অ্যাকুয়াপনিক্স পদ্ধতিতে খরচ মাত্র ৫৭০ ডলার।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply