ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

|

ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ আফ্রিকায় বসছে আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসর। ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্টে অনন্য এক ইতিহাস গড়তে যাচ্ছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। ১০ দলের এই টুর্নামেন্টের সব আম্পায়ার এবং ম্যাচ অফিসিয়ালের দায়িত্বে থাকবেন নারী। ক্রিকেটের কোনো বৈশ্বিক আসর এর আগে এমন ঘটনা দেখেনি কখনও।

শুরুটা হয়েছিল গত বছর বাংলাদেশে শেষ হওয়া নারী এশিয়া কাপ দিয়ে। সেই টুর্নামেন্টের সব ম্যাচ পরিচালনা করেছেন নারী আম্পায়াররা। সেই ধারাবাহিকতায় এবার মেয়েদের আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও থাকবেন নারীরা। মাঠে তো বটেই, এমনকি মাঠের বাইরের ম্যাচ রেফারি, টেলিভিশন আম্পায়ারের দায়িত্বেও থাকবেন নারীরা।

এক ম্যাচ রেফারি, দুই আম্পায়ারসহ সর্বোচ্চ তিনজন অফিসিয়াল থাকছে ভারত থেকে। দু’জন করে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নিউজিল্যান্ডের আছেন একজন করে।

এবার যে ১৩ জন ম্যাচ পরিচালনা করবেন, তাদের ৭ জনই প্রথমবার যাচ্ছেন বিশ্বকাপে। এ সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন আইসিসির নারী ক্রিকেটের ম্যানেজার স্নেহাল প্রধান। তিনি বলেন, আইসিসির এ সিদ্ধান্তে মেয়েরা ক্রিকেটে ক্যারিয়ার গড়ার সাহস পাবেন। এটা পরবর্তী প্রজন্মকে এই বার্তা দেবে যে, খেলোয়াড় না হয়েও এখানে ক্যারিয়ার গড়ে খেলাটির শীর্ষ পর্যায়ে বিশ্বকাপে যাওয়ার সুযোগ আছে।

আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি। ১৭ দিনের সেই বিশ্বকাপে রয়েছে বাংলাদেশও। ২৩ ম্যাচের টুর্নামেন্টের জন্য সাতটি দেশ থেকে আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারি বেছে নিয়েছে আইসিসি। অবশ্য, বাংলাদেশের কেউ নেই সেই তালিকায়।

ক্রিকেটে মেয়েদের বিভিন্ন টুর্নামেন্টে নারী আম্পায়ারদের অংশগ্রহণ নতুন নয়। তবে এতদিন নারী আম্পায়ারদের পাশাপাশি পুরুষ আম্পায়াররাও দায়িত্ব পালন করেছেন। এবারই পুরো টুর্নামেন্টে শতভাগ নারী ম্যাচ অফিসিয়ালকে নিযুক্ত করলো আইসিসি।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply