সময় যতই গড়াচ্ছে, দীর্ঘ হচ্ছে তুরস্ক-সিরিয়ায় লাশের সারি। হাজার হাজার মরদেহ দাফন করতে রীতিমতো হিমশিম অবস্থা স্বেচ্ছাসেবকদের। গৃহহীনদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে বিভিন্ন খেলার মাঠে। এ অবস্থায় জাতিসংঘ বলছে, শুধু সিরিয়াতেই গৃহহীন হবে অর্ধকোটি মানুষ। এখন পর্যন্ত উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছে বিভিন্ন দেশের ১৩০টি দল। খবর বিবিসির।
এখন পর্যন্ত এ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৪ হাজার। এক সাথে এত মানুষের মৃত্যুতে স্তম্ভিত তুরস্ক। ফলে বাধ্য হয়েই গণকবর দেয়া হচ্ছে তাদের। হাসপাতালগুলোতেও জায়গা নেই। বাধ্য হয়েই ইনডোর স্টেডিয়ামে রাখা হয়েছে আহতদের। গৃহহীনরাও আশ্রয় নিয়েছেন বিভিন্ন খেলার মাঠে।
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) থেকে উদ্ধারকাজে যোগ দিয়েছে ইন্দোনেশিয়া, কিউবাসহ অন্তত ৫ দেশের কর্মীরা। জাতিসংঘ বলছে, দুর্যোগ কবলিত এলাকাগুলোতে ১৩০টি দল উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। শিগগিরই যোগ দেবে আরও ৫৭টি।
এনিয়ে জাতিসংঘ প্রতিনিধি রোনাল্ডো ফিলহো বলেন, যে সংকট চলছে তুরস্ক-সিরিয়ায় তাতে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে এখন আমাদের মানবিকতাকে গুরুত্ব দেয়া উচিত। প্রতিটি দেশের এখন এই সংকটে ঝাপিয়ে পড়াটা কর্তব্য। বিশেষ করে সিরিয়ার বিষয়টিতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া উচিত।
এদিকে, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ডব্লিউএফপি বলছে, ইতিহাসের কঠিনতম সময় পার করছে সিরিয়া। গৃহযুদ্ধ, জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস এর বিস্তারের পর এবার ভূমিকম্পের তাণ্ডব। ফলে নতুন করে প্রায় ৫৩ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়েছে দেশটিতে।
ডব্লিউএফপির প্রতিনিধি করিয়ানা ফ্লেচার বলেন, সিরিয়ার ৫৩ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়েছে এই ভূমিকম্পে। একেতো যুদ্ধবিধস্ত দেশ, তারওপর এই দুর্যোগ। সব মিলিয়ে ইতিহাসের কঠিনতম সংকটের মধ্যে পড়তে চলেছে সিরিয়া। তাই এখনই এই সংকট মোকাবেলায় সচেষ্ট হওয়া প্রয়োজন।
আন্তর্জাতিক সমন্বয়কারীরা বলছেন, ভূমিকম্পের ধাক্কায় ভয়াবহ ফাটল ধরেছে বেশিরভাগে মহাসড়কে। রাস্তাও ধসে পড়েছে অনেক স্থানে। ফলে অনেক দুর্গত এলাকায় পৌঁছানো যাচ্ছে না। এই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে অনেক বেগ পেতে হবে তুরস্ককে।
এসজেড/
Leave a reply