স্টাফ করেসপনডেন্ট:
প্রেম করে বিয়ের পর স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ফেনীতে।
ঢাকার একটি বেসরকারি ব্যাংকের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ছিল তাহমিনা আক্তার রুনা। গত তিন বছর আগে সোনাগাজীর আবদুল হাই মজনুর সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ে হয়। বিয়ের পর শুরু হয় অমানসিক নির্যাতন। মায়ের কাছে চলে গেলেও একসময় আবার আসতো মজনুর কাছে। চার বোন ২ ভাইয়ের মধ্যে রুনা ছিল সবার বড়।
আজ বুধবার ফেনী জেনারেল হাসপাতালে রুনার লাশ রেখে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন আটক করে পুলিশে দেয়। স্বামী ফেনী মডেল থানা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। লাশ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
রুনার মা নারগিস আক্তার জানান, চট্টগ্রাম জেলার মীরসরাই থানার আবু তোরাব এলাকায় তাদের বাড়ি। গত দশ বছর আগে তার স্বামী ছয় সন্তান রেখে চলে যায়। স্বামীর বাড়ির পাশে সরকারি জায়গায় বসবাস করে তারা। সবার বড় তাহমিনা আক্তার দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে ঢাকার একটি ব্যাংকে কাজ নেয়। সেখানে থাকা অবস্থায় মোবাইল ফোনে ফেনীর সোনাগাজী
উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নের মজনুর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে তাদের বিয়ে হয়। পারিবারিকভাবে মিলমিশ হলে তারা গ্রামে বসবাস করে। তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। যৌতুকের দাবিতে মজনু প্রায় মারধর করতো।
নিরুপায় হয়ে মারধর সহ্য করে মজনুর কাছে থাকে রুনা। বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে মজনু তার শ্বাশুড়িকে ফোন করে
জানায় রুনার ডায়রিয়া হচ্ছে। তাড়াতাড়ি ফেনী জেনারেল হাসপাতালে আসতে। এসে দেখেন তার মেয়ে রুনা মৃত।
তিনি আরও জানান, আমার মেয়ের স্বামী আমার মেয়েকে মেরে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এঘটনায় সোনাগাজী থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে। পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে হত্যা না আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা রুজু করবে।
ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আসিফ ইকবাল জানান, সোনাগাজীর একটি লাশ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিত ময়না তদন্ত করা হবে।
সোনাগাজী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. খালেদ হোসেন জানান, মেয়ের মা থানার অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আমরা মামলা নিবো। প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করার চেষ্টা করছি।
তাহমিনার স্বামী আবদুল হাই মনজু জানান, আমার স্ত্রী ঘরে থাকা কীটনাশক খেয়েছে। প্রথমে সোনাগাজী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওয়াশ করার পর ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি। কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করায় এক লোক আমাকে আটকানোর চেষ্টা করে। আমি ভয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে সবাই মিলে আটক করে। আমার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে।
/এনএএস
Leave a reply