নোয়াখালী প্রতিনিধি:
একটি বেড়িবাঁধ আমূল পাল্টে দিয়েছে সমুদ্রঘেরা ভাসান চরের চিত্র। দূর করেছে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা। কক্সবাজারের ক্যাম্প থেকে স্থানান্তরিত ৩২ হাজার রোহিঙ্গাও অনেকটাই স্বস্তিতে। টেকসই বেড়িবাঁধ ঘিরে তৈরি হয়েছে ফসল আবাদের সুযোগ।
প্রায় ১৩ হাজার একরের সমুদ্রঘেরা ভাসান চরে, বড় ধরনের ঘূর্ণিঝড় বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে, এমন আশঙ্কা ছিল আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার। তবে, ১৯ ফুট উঁচু এ বেঁড়িবাধ উড়িয়ে দিচ্ছে সে আশঙ্কা। এরই মধ্যে ভাসান চরের চারপাশে সাড়ে ১১ কিলোমিটার বেঁড়িবাধ নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ, অল্পকিছু অংশে এখন চলছে বাঁধের ওপরে ঘাস লাগানোর কাজ।
প্রথম ধাপে বাঁধটির উচ্চতা ছিলো ৯ ফুট আর প্রস্থে ১২১ ফুট। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার পরামর্শে পরে তা ১৯ ফুটে উন্নীতকরণের প্রকল্প নেয় সরকার। আর, প্রস্থ বাড়ানো হয় ১৪০ ফুট। টেকসই বেঁড়িবাধ স্বস্তি এনে দিয়েছে, কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে স্থানান্তরিত ৩২ হাজার রোহিঙ্গাদের মাঝেও। বাঁধের কারণে সমুদ্রের নোনাপানি ভেতরে ঢুকতে না পারায়, তৈরি হয়েছে ফসল এবং ফলফলাদি চাষের সুযোগ।
বেঁড়িবাঁধের ওপর নির্মিত হয়েছে ১৭টি কালভার্ট। যাতে ভেতরে আটকে থাকা পানি নিষ্কাষন করা যায় সহজে। বাঁধের ভেতরের অংশে লাগানো হয়েছে নারিকেল সুপারিসহ বহুধরনের গাছপালা। বাঁধটির চারপাশে নির্মিত হচ্ছে ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ আউটার রিংরোডও। বেঁড়িবাঁধের পুরো এই প্রকল্পটিতে খরচ হয়েছে ৪৩০ কোটি টাকা।
/এসএইচ
Leave a reply