স্টাফ করেসপনডেন্ট, কিশোরগঞ্জ:
কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পৈতৃক বাড়িতে আজ অতিথি হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে মধ্যাহ্নভোজে মিলিত হবেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীকে আপ্যায়নে চলছে রাজসিক আয়োজন।
লোকমুখে প্রচলিত আছে, ‘হাওড়-বাঁওড় মাছে ভরা, অষ্টগ্রামের পনির সেরা’। ফলে হাওড়ের মিঠাপানির মাছ আর অষ্টগ্রামের শত বছরের ঐতিহ্যবাহী দুগ্ধজাত খাবার পনির দিয়ে বিশেষ আপ্যায়ন করা হবে প্রধানমন্ত্রীকে। হাওড়ের ২০ প্রজাতির মাছের নানা রকম পদ থাকবে। এছাড়াও থাকবে গোশতসহ আরও নানা পদ।
জানা গেছে, হাওড়ের মিঠাপানি সুস্বাদু আইড়, রুই, কাতলা, বোয়াল, চিতলের পাশাপাশি থাকবে চিংড়ি, মলা, ঢেলা, আইড়, বাইম, কালিবাউশ, বেলে, পাবদা, মৃগেল, পুঁটি, কই, মাগুর, শিং, টাকি, গুতুমসহ নানা প্রজাতির মাছ। এছাড়া থাকবে মুরগি, হাঁস, খাসি ও গরুর মাংস এবং নানা ধরনের পিঠা।
আজ প্রধানমন্ত্রী কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে যাবেন। সেখানে তিনি এক জনসভায় ভাষণ দেবেন এবং নবনির্মিত মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাসের উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সোমবার দুপুরে মিঠামইনে নিজ বাড়িতে পৌঁছেছেন।
মিঠামইন উপজেলা সদরের কামালপুর গ্রামে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সংস্কার করা পৈতৃক নিবাসে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে মিলিত হবেন। বিকেল ৩টার দিকে প্রধানমন্ত্রী মিঠামইনের হ্যালিপ্যাড মাঠে আয়োজিত দলীয় জনসভায় ভাষণ দেবেন।
এর আগে ১৯৯৮ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বন্যাদুর্গত হাওড়বাসীকে দেখতে ভাটির শার্দূলখ্যাত মিঠামইনে এসেছিলেন। দেখেছিলেন তদানীন্তন এ হাওড় জনপদের পশ্চাৎপদ জীবনচিত্র। তখন সেখানে আয়োজিত এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, কিশোরগঞ্জ আর ফরিদপুরের হাওড় জনপদের উন্নয়ন এবং হাওড় উন্নয়ন বোর্ড পুনর্গঠনে তার সরকার কাজ করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেই প্রতিশ্রুতি আজ ষোলোকলা পূর্ণ হয়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকার বৈপ্লবিক উন্নয়ন আর পরিবর্তনে এককালের দুঃখী ভাটিকন্যা আজ হাওড়াঞ্চলের রানি হিসাবে পরিচিত হয়েছে। সশরীরে সেই অপরূপ নৈসর্গিক সৌন্দর্যের হাওড় জনপদ দেখবেন প্রধানমন্ত্রী।
এএআর/
Leave a reply