জস বাটলারের মহাগুরুত্বপূর্ণ উইকেট পতনের সাথেই ম্যাচে ফিরেছিল বাংলাদেশ। ৬৫ রানের মধ্যে ৪ ইংলিশ ব্যাটারকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে ২১০ রানের লক্ষ্যকেও বেশ করে তোলে টাইগাররা। উইল জ্যাকসকে সাথে নিয়ে ডাভিড মালানের জুটিতে ম্যাচের লাগাম যখন আবারও নিতে যাচ্ছিল থ্রি লায়নসরা, তখনই আঘাত হানলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। উইল জ্যাকসকে আউট করে আবারও ম্যাচকে পেন্ডুলামের মতো অনিশ্চয়তায় দোলালেন এই অলরাউন্ডার।
স্কোরবোর্ডে খুব বেশি পুঁজি না থাকলে বল হাতে যেমন শুরু প্রত্যাশা করা হয়, টাইগার অধিনায়ক তামিম ইকবালকে তেমনটি সূচনাই এনে দিয়েছে স্পিনাররা। প্রথম ওভারেই সাকিব আল হাসানের উইকেটপ্রাপ্তির পর জোড়া আঘাতে অপর ওপেনার ফিল সল্ট ও চারে নামা জেমস ভিন্সকে সাজঘরে পাঠিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। এরপর বিপজ্জনক জস বাটলারকে সাজঘরে পাঠিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান তাসকিন আহমেদ।
তিনে নামা ডাভিড মালান আগলে রেখেছেন একপ্রান্ত। বাটলারের বিদায়ের পর উইল জ্যাকসকে সাথে নিয়ে এই বাঁহাতি গড়েন ৩৮ রানের জুটি। উইল জ্যাকসও দ্রুত রান তুলে বাংলাদেশের পথের কাঁটা হওয়ার ক্ষেত্র যখন প্রায় প্রস্তুত করে ফেলেছিলেন, তখন ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন মিরাজ। ডিপ স্কয়ার লেগে ফিল্ডার না থাকায় এই অফস্পিনিং অলরাউন্ডারের মিডল ও লেগ স্ট্যাম্পের মাঝের ডেলিভারিকে উড়িয়ে মারতে যান উইল জ্যাকস। ব্যাটে-বলে টাইমিং ঠিক মতো না হওয়ায় বল চলে যায় ডিপ মিড উইকেটে দাঁড়ানো আফিফ হোসেনের হাতে।
উইকেটে এখন আছেন ডাভিড মালান ও মঈন আলী। মালান ৫০ ও মঈন আলী ব্যাট করছেন ১০ রান নিয়ে। প্রতিবেদনটি লেখার সময় ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ৩২ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১২০ রান। জয়ের জন্য এখনও ইংলিশদের দরকার ১০৮ বলে ৯০ রান। এর আগে, বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করে ৪৭.১ ওভারে ২০৯ রানে অলআউট হয়।
/এম ই
Leave a reply