‘আমাকে কি ছাঁটাই করা হয়েছে?’ টুইটারে ইলন মাস্কের প্রতি কর্মীর প্রশ্ন

|

ছবি: সংগৃহীত

টুইটারের এক কর্মী টুইট করেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির সিইও ইলন মাস্কের কাছে জানতে চেয়েছেন, তাকে ছাঁটাই করা হয়েছে কিনা! সেই সাথে হ্যালি থরলিফসন নামের সেই কর্মী ইলন মাস্ককে বলেছেন, তোমার এইচআর প্রধান আমাকে নিশ্চিত করতে পারছে না যে, আমার চাকরিটা এখনও আছে নাকি নেই।

বিবিসির কাছে হ্যালি থরলিফসন জানান, নয়দিন আগে টুইটার অ্যাকাউন্টে লগ ইন করতে গিয়ে তিনি দেখেন, সেখানে তিনি ঢুকতে পারছেন না। এরপরই মূলত টুইটারে ইলন মাস্কের সাথে দীর্ঘ এক প্রশ্নোত্তর পর্বের অবতারণা করেন তিনি। তার প্রশ্নের জবাবে মাস্ক বলেন, তুমি কী কাজ করছিলে? তবে প্রশ্নোত্তর পর্বের শেষে একটি ইমেইল পান থরলিফসন। জানতে পারেন, তার শঙ্কাই সঠিক। তাকে ছাঁটাই করা হয়েছে টুইটার থেকে।

টুইটারের প্রোডাক্ট ডিজাইনের সিনিয়র ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করতেন ৪৫ বছর বয়সী হ্যালি থরলিফসন। বিবিসিকে তিনি বলেন, চাকরি আছে নাকি নেই- এ নিয়ে কর্মীদের মধ্যে যে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে তা একই সাথে উদ্ভট এবং ভীষণ পীড়াদায়ক। আমি গত রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে টুইটার অ্যাকাউন্টে লগ ইন করতে গিয়ে দেখি, সবই লক করা। এর মানে দাঁড়ায়, আমাকে আমার অ্যাকাউন্ট থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। কয়েকদিন অতিবাহিত হওয়ার পর আমি সংশ্লিষ্টদের কাছে পুরো ব্যাপারটা জানার চেষ্টা করি। তার মাঝে ইলন মাস্ক এবং এইচআর প্রধানও ছিলেন।

নিজ পরিবারের সাথে হ্যালি থরলিফসন। ছবি: সংগৃহীত

হ্যালি থরলিফসন আরও বলেন, টুইটারের এইচআর প্রধান এরপর আমাকে দুইবার ইমেইল করেছে। কিন্তু সে নিশ্চিত করতে পারেনি যে, আমার চাকরিটা এখনও আছে নাকি নেই। হতাশ হয়েই টুইটারের সিইও ইলন মাস্কের কাছেই জানতে চেয়েছি। লিখেছি, যদি অনেকেই এটা রিটুইট করে তাহলে হয়তো তুমি আমাকে উত্তর দেবে।

এরপর মাস্ক জবাব দিয়ে জানতে চান, টুইটারে হ্যালি থরলিফসন কী ধরনের কাজ করেন। তারপর টুইটারের হয়ে করা বেশ কিছু কাজের তালিকা দেন হ্যালি। এর জবাবে কেবল দুইটি হাসির ইমোজি ব্যবহার করেন মাস্ক।

আইসল্যান্ড ভিত্তিক উদ্যোক্তা হ্যালি থরলিফসন ২০২১ সালে তার ক্রিয়েটিভ ডিজাইন এজেন্সি ‘উইনো’কে বিক্রি করে দিয়েছিলেন টুইটারের কাছে। কিন্তু চুক্তিপত্রে উল্লেখ করা শর্তগুলোর প্রতি ইলন মাস্ক কোনো ধরনের সম্মান প্রদর্শন করছেন না বলে অভিযোগ করেন হ্যালি। বলেন, এটা ভীষণ পীড়াদায়ক। এটাই আমার অবসর তহবিল। এই টাকা দিয়েই আমার নিজের চিকিৎসা ও পরিবারের ব্যয় বহন করতে হবে। সে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হতে পারে। কিন্তু, চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করা আমি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না।

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply