তিন স্ট্রাইকারের ‘সেলফিশ ফুটবল’ ভবিষ্যতের জন্য অশনি সংকেত; এমিলির হুঁশিয়ারি

|

মামুনুর রশিদ:

বয়সভিত্তিক নারী ফুটবল দলে চলছে স্বার্থপর ফুটবল। তুর্কমেনিস্তান ম্যাচে দেখা গেছে সেই চিত্র। এখনই ঠিক না হলে ভবিষ্যতের জন্য অপেক্ষা করছে অশনি সংকেত। এমনটাই জানিয়েছেন সাবেক স্ট্রাইকার জাহিদ আহসান এমিলি। তার মতে, মোটা দাগে ফরোয়ার্ড লাইনে খেলা তিন ফুটবলার আকলিমা, রিপা ও স্বপ্নার স্বার্থপর ফুটবলের কারণে গোলসংখ্যা বাড়াতে পারেনি বাংলাদেশ।

সতীর্থ সুবিধাজনক জায়গায় থাকার পরও তাকে পাস না দিয়ে নিজেই গোলের জন্য চেষ্টা করার ফলাফল হিসেবে অনেক সময়ই গোল বঞ্চিত হয় দল। আর, এমন দৃশ্য দেখা গেছে বাংলাদেশ নারী বয়সভিত্তিক ফুটবলে। সাবেক ফুটবলার জাহিদ হাসান এমিলির ভাষায় এটি ‘সেলফিশ ফুটবল’। তিনি বলেন, তুর্কমেনিস্তান ম্যাচে ওরা নিজেই গোল করা চেষ্টা করেছে। এ কারণে, প্রথম গোলটা দেরিতে এসেছে। সতীর্থকে দিয়ে গোল করানোর চেষ্টা করলে আগেই গোল আসতে পারতো। সেক্ষেত্রে, ৭-৮ গোলও পেতে পারতো বাংলাদেশ। তাছাড়া, অনূর্ধ্ব-২০ দলকে জাতীয় দলের খুব কাছাকাছিই ভাবি। এই সময়ে এই পরিপক্বতা না আসলে জাতীয় দলকে ভুগতে হতে পারে।

এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে মাঠে নামার আগেই জানা ছিল, বড় ব্যবধানে জিততে হবে। সেই পথে ৫ মিনিটের সময় ডি বক্সে রিপার পাস না দেয়া অথবা, ৪০ মিনিটে সতীর্থের দিকে স্বপ্নার বল না বাড়ানো- পুরো ম্যাচে এমন সব দৃশ্য জুগিয়েছে ভাবনার খোরাক। জাহিদ হাসান এমিলি এ প্রসঙ্গে বলেন, বেশ কিছু গোলের সহজ সুযোগ তারা নষ্ট করেছে। দলের কম্বিনেশন ভালো; এটা ইতিবাচক দিক। কিন্তু ডি বক্সে যদি তারা আরও পাস দিতো তাহলে গোল সংখ্যা বাড়ানোর সুযোগ থাকতো।

পরের ডু অর ডাই ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ইরান। মোটা দাগে বাংলাদেশের তিন ফরোয়ার্ড আকলিমা, রিপা আর স্বপ্নার স্বার্থপর ফুটবল চোখ এড়ানোর কথা নয় তাদেরও। বাংলাদেশের সাবেক স্ট্রাইকার এমিলি বলেন, ত্রিদেশীয় সিরিজে সাধারণত শেষ দিকে গোল ব্যবধান বড় হয়ে দাঁড়ায়। ইরান বড় ব্যবধানে তুর্কমেনিস্তানকে হারিয়েছে। আমরা তাই গোল ব্যবধানে পিছিয়ে আছি। রোববারের ম্যাচে এই বিষয়টি বড় প্রভাব ফেলতে পারে।

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply