ইবাদত-তাসকিনের জোড়া আঘাতে চালকের আসনে বাংলাদেশ

|

ছবি: সংগৃহীত

৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে চেপে ধরেছে বাংলাদেশের পেসাররা। পাওয়ার প্লের মধ্যে ৪ উইকেট হারানোর পর পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করছিলেন লরকান টাকার ও কার্টিস ক্যাম্পার। কিন্তু তাদের প্রতিরোধ ভেঙে জোড়া আঘাত হানেন ইবাদত হোসেন। তার দেখানো পথেই যেনো হাটলেন আরেক পেসার তাসকিন আহমেদ। ২২তম ওভারে আইরিশদের শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন এই পেসার। ২৫ ওভারেই ৮ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের লাগাম টেনে ধরে টাইগাররা।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম দুই ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং করলেও এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবার্নি। ম্যাচের শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রিত বোলিং করতে থাকেন হাসান মাহমুদ ও তাসকিন আহমেদ। সফলতা পেতেও বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি টাইগার পেসারদের। পঞ্চম ওভারের তিন নম্বর বলে ডোহানিকে মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ বানান ডানহাতি পেসার হাসান মাহমুদ। ৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ডোহানি।

ছয় বলের মধ্যে দ্বিতীয় উইকেট পেতে পারতো বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ড ওপেনার পল স্টার্লিংয়ের ক্যাচ নিতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজ। পয়েন্ট থেকে ডাইভ দিয়েছিলেন, বল তার আঙুল ছুঁয়ে মাটিতে পড়ে। বোলিংয়ে ছিলেন তাসকিন আহমেদ, ঘটনা ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় বলে। ৫ রানে জীবন পান স্টার্লিং।

তবে স্টার্লিংকে বেশিক্ষণ ক্রিজে রাখেননি হাসান মাহমুদ। নিজের করা পঞ্চম ওভারে দ্বিতীয় উইকেটের দেখা পান এই পেসার। স্টিফেন ডোহানির পর আরেক ওপেনার পল স্টার্লিংকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলান তিনি। ৭ রানে করে সাজঘরে ফেরেন এই আইরিশ ব্যাটার।

স্টার্লিংয়ের বিদায়ের দুই বল পরেই বিদায় নেন আরেক ব্যাটার হ্যারি ট্যাক্টর। তাকেও এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে আউট করেন হাসান। এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি অধিনায়ক বালবার্নিও। দলীয় ২৬ রানে তাসকিনের শিকারে পরিণত হয়ে ফেরেন ডানহাতি এই ব্যাটার।

পাওয়ার প্লের মধ্যে ৪ উইকেট হারানোর পর পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা চালিয়ে যান লরকান টাকার ও কার্টিস ক্যাম্পার। ইবাদত হোসেনের করা ১৪তম ওভারে তিনটি চার মেরে দলীয় পঞ্চাশ পূরণ করেছেন টাকার। অফ স্টাম্পের বাইরের বল প্রথমে পয়েন্ট দিয়ে চার মারেন কিপার-ব্যাটসম্যান। ফুল টস পেয়ে পরের ডেলিভারি পাঠান সোজা বাউন্ডারিতে। এক বল পর পুল করে স্কয়ার লেগ দিয়ে সীমানা ছাড়া করেন তিনি।

পাল্টা আক্রমণে জুটি গড়ার পথে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছিলেন কার্টিস ক্যাম্পার ও লরকান টাকার। তবে এই জুটিকে বেশি বড় দিতে দিলেন না ইবাদত হোসেন। দারুণ এক ইয়র্কারে ফেরালেন টাকারকে। ইবাদতের ইয়র্কারে সামনের পায়ে খেলার চেষ্টা করেছিলেন আয়ারল্যান্ডের কিপার-ব্যাটসম্যান। ব্যাট নেমে আসার আগেই বল আঘাত হানে তার পায়ের পাতায়। আউটের সিদ্ধান্ত জানাতে সময় নেননি আম্পায়ার।

রিভিউ নিয়েও সফল হননি টাকার। ৪ চারে ৩১ বলে ২৮ রান করেন তিনি। টাকারের বিদায়ে ভেঙেছে ক্যাম্পারের সঙ্গে ৪১ রানের পঞ্চম উইকেট জুটি। বাংলাদেশের বিপক্ষে পঞ্চম উইকেটে তাদের সর্বোচ্চ জুটি এটি। পরের বলে ফের আঘাত হানেন ইবাদত। অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করে ভেতরে ঢোকা ডেলিভারি পুরোপুরি ভুল লাইনে খেলে বোল্ড হন জর্জ ডকরেল।

২২তম ওভারের প্রথম বলে খাট লেংথের ডেলিভারিতে পুল করতে চেয়েছিলেন অ্যান্ড্রু ম্যাকব্রাইন। টাইমিংয়ের গড়বড়ে ক্যাচ উঠে যায় শর্ট মিড উইকেটে। অনায়াসে সেটি নেন নাসুম আহমেদ। মাত্র ১ রান করেন ম্যাকব্রাইন। দুই বল পর মিডল স্টাম্প লাইনের ডেলিভারি ফেরাতে পারেননি মার্ক অ্যাডায়ার। তার ব্যাট-প্যাডের ফাঁক দিয়ে বল আঘাত হানে স্টাম্পে। রানের খাতে খোলার আগেই বিদায় নেন অ্যাডায়ার।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ ২৪ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ৯০ রান।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply