আওয়ামী লীগের বর্তমান মেয়াদে হচ্ছে না রাজাকারদের তালিকা: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

|

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বর্তমান মেয়াদে আর হচ্ছে না রাজাকারদের তালিকা। পাঠ্যপুস্তকেও যুক্ত হচ্ছে না মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের ভূমিকা নিয়ে কোনো লেখা। এসব ক্ষেত্রে উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে না পারার ব্যর্থতা স্বীকার করেছেন খোদ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

ক্ষমতার তৃতীয় মেয়াদের শেষ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার। এর মাঝে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও রায় কার্যকর করেছে। উদ্যোগ নিয়েছিল রাজাকারের তালিকা করার। সে অনুযায়ী ২০১৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর ১০ হাজার ৭৮৯ জনের নাম দিয়ে রাজাকারের তালিকা প্রকাশও করেছিল মন্ত্রনালয়। তবে ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় প্রকাশের তিনদিনের মাথায় তালিকা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

সেই তালিকা প্রত্যাহারের সোয়া তিন বছর পেরিয়েছে। প্রতিবছর রাজাকারের নতুন তালিকা প্রকাশের হাকডাক থাকলেও সরকারের বর্তমান মেয়াদে তা আর হচ্ছে না বলে-স্বীকার করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী। তিনি বলছেন, আইন করা হয়েছে। এ নিয়ে গঠিত উপকমিটি কাজ করছে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, এটি এখন দুরূহ কাজ। এখন তথ্য সংগ্রহ করতে হবে যে তার ভূমিকা কী ছিল। ভূমিকার ওপর নির্ভর করে তালিকা করলে তবেই সেটি বাস্তবসম্মত হবে। সঠিকভাবে এই তালিকা ৯ মাসের মধ্যে করা সম্ভব না।

প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের পাঠ্য বইয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের ইতিহাস যুক্ত করতে চেয়েছিল মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়। সিদ্ধান্ত ছিল বিসিএসসহ প্রতিযোগিতামুলক পরীক্ষায় ‘মুক্তি সংগ্রাম’ ও ‘মুক্তিযুদ্ধ’ দুই বিষয়ে ১০০ নম্বরের পরীক্ষার চালুরও। কিন্তু তা পুরোপুরি করা যায়নি বলে নিজেদের ব্যর্থতা স্বীকার করছেন আ ক ম মোজাম্মেল হক।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, মাধ্যমিকের বইয়ে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে কারা ছিল আর বিপক্ষে কারা ছিল এটিও লেখা থাক। বিপক্ষে যারা ছিল তারা কী ভূমিকা পালন করেছে সেটিও লেখা থাকুক। আমরা চেষ্টা করেছিলাম পাঠ্যক্রম যারা তৈরি করে তাদেরকে বারবার বলার জন্য। কিন্তু এটি হয়নি। আমরা চেষ্টা করেছিলাম বিসিএস পরীক্ষায় ১০০ নম্বর মুক্তিযুদ্ধের ওপর থাকুক।

কেন পাঠ্যবইয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের ইতিহাস এখনও যুক্ত করা গেলো না এ নিয়ে অবশ্য কারও ওপর দায় চাপাননি মন্ত্রী। তিন দফা ক্ষমতায় থাকলেও স্বাধীনতা বিরোধী রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করতে না পারাকেও ব্যর্থতা হিসেবে দেখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী।

/এনএএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply