এ যেনো মহামিলন। তুরস্কে ভূমিকম্পের প্রায় দুই মাস পর মায়ের কোলে ফিরলো শিশু। দুর্যোগের পর হারিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত ডিএনএ পরীক্ষায় নিশ্চিত হয়, তিন মাস বয়সী ভেতিন-ই হাসপাতালে গুরুতর আহত ইয়াসমিনের সন্তান। পরে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেয়া হয় শিশু ভেতিনকে। ঘটনাটি আলোড়ন তুলেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
তুরস্ক-সিরিয়ায় প্রলয়ঙ্করী ভূমিকম্পের ১২৮ ঘণ্টা পর হ্যাতয় প্রদেশে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার হয় দেড় মাস বয়সী ভেতিন। সে সময় শিশুটির পরিবারের কারো সন্ধান মেলেনি। তাই প্রায় দুই মাস ভেতিন ছিল রাষ্ট্রীয় হেফাজতে।
সম্প্রতি ডিএনএ টেস্টের পর নিশ্চিত হয়, আদানা শহরের এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইয়াসমিন নামের এক নারী ওই শিশুর মা। ভেতিনকে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার তৎপরতা শুরু করে পরিবার ও সামাজিক সেবা বিষয়ক মন্ত্রণালয়। মন্ত্রী নিজেই রওনা হন ভেতিনকে নিয়ে। আঙ্কারা থেকে প্রেসিডেন্সিয়াল বিমানে তাদের উড়িয়ে নেয়া হয় আদানা শহরে।
তুরস্কের পরিবার ও সামাজিক সেবা বিষয়কমন্ত্রী দেরিয়া ইয়ানিক বলেন, পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন শিশুদের স্বজনদের কাছে পৌঁছে দিতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। গত ১৫ মার্চ প্রথম মনে হয়েছিল ডিএনএ সাদৃশ্য হতে পারে। তখন নিশ্চিত হই। আর প্রক্রিয়া শুরু করি।
ভূমিকম্পে স্বামী ও বাকি দুই সন্তানকে হারিয়েছেন ইয়াসমিন। নিজেও আহত হয়ে পড়ে আছেন হাসপাতালের বিছানায়। এতোদিন পর সন্তানকে জীবিত পেয়ে আপ্লুত তিনি।
তুরস্কে ভূমিকম্পের কারণে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন ১ হাজার ৭৭৪ শিশুকে এ পর্যন্ত ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে পরিবারের কাছে। রাষ্ট্রীয় তত্ত্বাবধানে আছে আরও ১৩৫ শিশু। যাদের ৩৩ জনের পরিচয় জানা যায়নি। ৬ ফেব্রুয়ারির এই দুর্যোগে তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে প্রায় ৫৭ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
ইউএইচ/
Leave a reply