নিউইয়র্কের আদালতে আলোচিত মামলায় মোট ৩৪টি অভিযোগ গঠন করা হয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। অভিযোগ আনা হয়েছে, মিথ্যা তথ্যে ঘুষ দেয়ার। অপরদিকে ট্রাম্পের লক্ষ্য ছিলো, নিজের অপরাধ ধামাচাপা দেয়া। বিশ্লেষকরা বলছেন, অপরাধ প্রমাণিত হলে প্রতিটি অভিযোগে সর্বোচ্চ চার বছর করে জেলের সাজা হতে পারে ট্রাম্পের। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) আদালতে ট্রাম্পকে পড়ে শোনানো হয় তার বিরুদ্ধে আনা ৩৪টি অভিযোগ। যার মধ্যে, তিনটি ঘটনাকে দেয়া হচ্ছে বিশেষ গুরুত্ব। সবচেয়ে বেশি আলোচিত, সাবেক পর্নোতারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেয়ার ঘটনাটি। অভিযোগপত্রে বলা হচ্ছে, যৌন সম্পর্কের বিষয়ে স্টর্মির মুখ বন্ধ রাখতে, ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে তাকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এমনকি এসব তথ্য লুকাতে তৈরি করেছিলেন ভুয়া কাগজপত্রও।
তথ্য গোপন করতে ঘুষ দেয়ার আরও কয়েকটি অভিযোগ উঠেছে সাবেক এ মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে। বলা হচ্ছে, ট্রাম্পের বিবাহ বহির্ভূত এক সন্তান থাকার কথা সামনে আনেন ট্রাম্প টাওয়ারের এক ডোরম্যান। সে সময় এ কথা ধামাচাপা দিতে ওই ব্যক্তিকে ত্রিশ হাজার ডলার দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এছাড়া অভিযোগ রয়েছে, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের ব্যাপারে মুখ বন্ধ রাখতে সাবেক এক প্লেবয় মডেলকে দেড় লাখ ডলার ঘুষ দেন তিনি। উল্লেখযোগ্য এই তিন ঘটনা ছাড়াও বাকি ৩১টি অভিযোগও দায়ের হয়েছে ঘুষ দিয়ে তা অস্বীকার করায় দায়ে।
এদিন ট্রাম্পের আদালতে হাজির হওয়াকে কেন্দ্র করে পক্ষে-বিপক্ষে হয় বিশাল শোডাউন হয়। ট্রাম্পের কঠোর সাজার দাবি জানান তার বিরোধীরা।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের এ নজিরবিহীন ঘটনার পরই চর্চা শুরু হয়েছে এসব মামলায় তার সাজার বিষয়টি। মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, জালিয়াতি মামলায় প্রতিটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে ট্রাম্পের সর্বোচ্চ চার বছরের সাজা হতে পারে।
তবে আইনজ্ঞরা বলছেন, এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে কারাদণ্ড বাধ্যতামূলক নয়। এমনটাও হতে পারে কোনো সাজাই দেয়া হবে না সাবেক এ মার্কিন প্রেসিডেন্টকে।
/এসএইচ
Leave a reply