মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন, এমন দাবি বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের। এদিকে, সাফজয়ী নারী ফুটবলারদের পুরষ্কারের অর্থ বুঝিয়ে দিতে চেয়েও বিসিবি পারেনি শুধুমাত্র বাফুফের অনাগ্রহের কারণে। বারবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে বিসিবি। এজন্য, আসন্ন ঈদের আগেই ফুটবলারদের চেক বুঝিয়ে দিতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
অর্থাভাবে অলিম্পিক বাছাইপর্বে নারী ফুটবল দলকে পাঠাতে পারেনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। কারণ হিসেবে বলা হয়, এগিয়ে আসেনি কোনো স্পন্সর প্রতিষ্ঠান। এমনকি সাফ জয়ের পর নারী দলকে দেয়া প্রতিশ্রুত পুরষ্কারের অর্থও বুঝিয়ে দেয়নি বিসিবিসহ অন্যান্যরা।
এ প্রসঙ্গে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন বলেন, আসলে সবার পার্সনালিটি তো এক না। এমি নিশ্চয়ই পাবলিকলি দেখায়ে ফোন করবো না যে আমি প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেছি। আমি ওই ব্যক্তিটি নই। আমি ওই নাটক করতে পারবো না।
বাফুফের এমন বক্তব্যে ক্ষিপ্ত বিসিবি সভাপতি। বারবার অনুরোধ করেও বাফুফের অনাগ্রহের কারণে নারী ফুটবলারদের টাকা বুঝিয়ে দিতে পারেনি ক্রিকেট বোর্ড। পাপনের দাবি, পুরো ঘটনা নিয়ে মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে ফুটবল ফেডারেশন। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ওরা মিথ্যা বলছে। ওরা নেয় না টাকা। বারবার বলা হয়েছে। আপনারা সুজনের (বিসিবির সিইও) সাথে কথা বলেন, ও বিস্তারিত বলতে পারবে। গত অক্টোবর মাসে আমরা চেক সাইন করে রেখেছি সবার নামে। বিএফএফ নিতেও আসে না
এদিকে, আসন্ন ঈদের আগে নারী ফুটবলারদের চেক বুঝিয়ে দিতে চায় বিসিবি। এ প্রসঙ্গে বিসিবির সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরি সুজন বলেন, রসেন্টলি আমরা কথা বলেছি। ওনারা একটা সুবিধাজনক সময় আমাদের দিলে আমরা ওই সময় অনুযায়ী চেকগুলো হস্তান্তর করে দেবো। সেটিও যদি না হয় তাহলে আমরা তাদের সাথে যোগাযোগ করে যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব চেকগুলো আমরা পৌঁছে দেবো।
বিসিবির দাবি, নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে অন্যদের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে পার পেতে চায় বাফুফে। যার খেসারত দিতে হচ্ছে সাফজয়ী নারী ফুটবল দলকে।
/এসএইচ
Leave a reply