মাহফুজ মিশু:
বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গাদের ভরণপোষণের অর্থ জোগাড়ে হিমশিম খাচ্ছে জাতিসংঘ। কমছে জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান বা জেআরপি’র অর্থের পরিমাণ। জাতিসংঘ বলছে, বিভিন্ন দেশের কাছে থেকে প্রতিশ্রুত অর্থ পাওয়াটাই এখন চ্যালেঞ্জ। সেই সাথে রোহিঙ্গা সঙ্কটকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে গুরুত্বপূর্ণ করে রাখাটাও চ্যালেঞ্জিং বলে মনে করছে বাংলাদেশ।
মিয়ানমার থেকে প্রাণভয়ে পালিয়ে আসা কমপক্ষে ১১ লাখ রোহিঙ্গার অবস্থান এখনও বাংলাদেশে, এ সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিনই। এতো বিশাল জনগোষ্ঠীর থাকা খাওয়া, আবাসনসহ প্রায় সবই জোগান দিতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। আর, সে জন্য দরকার বিরাট অঙ্কের অর্থ। বছরে অন্তত প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার। এ অর্থের একটা বড় অংশ জোগান দিয়ে আসছে বন্ধুরাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্র। বাকিটা আসে অন্যান্যদের কাছ থেকে। চলতি বছর সব মিলিয়ে আশ্বাস পাওয়া গেছে ৮৭৬ মিলিয়ন ডলারের। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী বছরগুলোতে কমতে পারে এ অর্থের পরিমাণ।
এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, দাতা দেশগুলো আগে পরিমাণ সাহায্য করতো তারা এখন ওই সাহায্যের পরিমাণ কমিয়ে ফেলেছে। করোনা মহামারি, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ওখানেই বেশীরভাগ সাহায্য চলে যাচ্ছে।
করোনা মহামারীর পর রুশ ইউক্রেন যুদ্ধ, তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পসহ নানা ঘটনায় তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন ইস্যু। সেই সাথে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা তো আছেই। এতোকিছুর মধ্যে বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গা ও রোহিঙ্গাসৃষ্ট নানা চ্যালেঞ্জ থেকে বিশ্ব সম্প্রদায়ের নজর সরে যায় কিনা, সেটিও ভাবাচ্ছে বাংলাদেশকে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আমাদের দিকে মনোযোগ ধরে রাখতে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছি। আমাদের বন্ধু রাষ্ট্ররা আমাদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন।
তবে প্রত্যাবাসনই যে রোহিঙ্গা সংক্টের একমাত্র সমাধান, সে কথা মনে রেখে কাজ করার তাগিদ দিয়েছে জাতিসংঘ।
/এসএইচ
Leave a reply