১১ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়ছিল যাত্রীবাহী উড়োজাহাজটি। হঠাৎ নিজের সিটের নিচে গোখরা সাপ দেখতে পান পাইলট। পরে উড়োজাহাজ জরুরি অবতরণ করান পাইলট। খবর বিবিসির।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ আফ্রিকার পাইলট রুডল্ফ এরাসমুস ওই উড়োজাহাজ পরিচালনা করছিলেন। এটি যখন ১১ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়ছিল তখন তিনি সাপটি দেখেন।
রুডল্ফ এরাসমুস বলেন, সত্যি কথা কী ঘটছে তা আমার মস্তিষ্ক বুঝতে পারছিল না। হকচকিয়ে যাওয়ার একটি মুহূর্ত ছিল। প্রথমে মনে হয়েছিল তার পিঠে হয়ত ঠান্ডা কোনো পানির বোতল রয়েছে। আমি শীতল অনুভূতি পাচ্ছিলাম শার্টের ওপর দিয়ে। প্রথমে ভাবছিলাম হয়ত বোতলের মুখ ঠিকমতো লাগানো হয়নি এবং শার্ট গড়িয়ে হয়তো পানি পড়ছে। আমি যখন বাঁ দিকে ফিরে নিচের দিকে তাকাই তখন দেখতে পাই গোখরা সাপটি আমার সিটের নিচে মাথা লুকিয়ে আছে। বিমানটিতে চারজন যাত্রী ছিলেন।
যাত্রীদের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে পাইলট বলেন, বিমানে সাপ আছে জেনে সবাই ভয়ে চুপ হয়ে যান। আমার মনে হয় সবাই এক বা দুই মিনিটের মতো স্তব্ধ হয়ে যান।
পাইলটদের অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতির জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। তবে আমি নিশ্চিত এমন পরিস্থিতির কথা হয়তো ভাবা হয়নি। আতঙ্কিত হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতো। উড়োজাহাজটি ওয়েলকম শহরে জরুরি অবতরণ করানো হয় বলেও জানান তিনি।
ওরচেস্টার ফ্লাইং ক্লাবের দুই কর্মী বলেছেন, উড়োজাহাজে একটি সাপের উপস্থিতি তারা টের পেয়েছিলেন। তারা এটিকে ধরতে চেষ্টা করলেও সফল হননি। বিমানবন্দর থেকেই প্রথমে উড্ডয়ন করে উড়োজাহাজটি।
এরাসমুসও সাপের বিষয়টি জানতেন। তিনি বলেছেন, উড়োজাহাজে যাত্রীরা উঠার আগে তিনি সাপটিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু খুঁজে পাননি। মনে করেছিলেন রাতে বা ভোরে সাপটি হয়ত নেমে গেছে। ফলে উড়োজাহাজ যাত্রীদের জন্য নিরাপদ।
ইউএইচ/
Leave a reply