বাখমুত দখলকে কেন্দ্র করে ইউক্রেন আর রুশ বাহিনীর মধ্যে এখন চলছে মরনপণ লড়াই। বাখমুতের বেশিরভাগ অঞ্চলই এখন রাশিয়ার দখলে এমন দাবি করে আসছিল মস্কো। এবার ইউক্রেনও স্বীকার করলো, অঞ্চলটিতে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। খবর আল জাজিরার।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) নিয়মিত সংবাদ বিবৃতিতে কিয়েভ জানায়, বাখমুত দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে রুশ বাহিনী। প্রতিদিন পাঁচ শতাধিক গোলাবর্ষণ করা হচ্ছে। একইদিন রুশ সামরিক বাহিনী দাবি করে, দিনে সাড়ে ৪০০ সেনা হারাচ্ছে জেলেনস্কি প্রশাসন। ফলে চলতি সপ্তাহেই আসতে পারে সাফল্য।
এ নিয়ে রাশিয়ার সামরিক মুখপাত্র ইগোর কোনাশেনকভ বলেন, বাখমুতের কেন্দ্রস্থলে লড়ছে ওয়াগনার গ্রুপ। খুব শিগগিরই, গোটা শহর আসবে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। অভিযানের চাপে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে দখলদারদের।
তিনি আরও জানান, গেলো ২৪ ঘণ্টায় শহরটিতে ১১ দফা শক্তিমত্তা দেখিয়েছে বিমান বাহিনী। ৪৮টি রকেট ও শক্তিশালী বোমা ছুড়েছে। যাতে ধ্বংস হয়েছে ১৮টি সাঁজোয়া যান-ট্যাংক, দুটি হ-ইটজার। তাছাড়া অঞ্চলটিতে প্রতিদিন সাড়ে ৪০০ মতো সেনা হারাচ্ছে ইউক্রেন।
এদিকে, নিজেদের নড়বড়ে অবস্থানের কথা স্বীকার করেছে ইউক্রেন। তাদের দাবি, কাঙ্ক্ষিত অস্ত্র বা পশ্চিমা সহযোগিতা হাতে না পাওয়ায় এমন পরিস্থিতির শিকার কিয়েভ।
ইউক্রেনের সামরিক মুখপাত্র ওলেক্সাই রোমভ বলেন, বর্তমানে বাখমুত ফ্রন্টলাইনের লড়াই সবচেয়ে কঠিন। শহরের কেন্দ্রস্থলের দিকে অব্যাহত শত্রুদের আগ্রাসন। দিনে ৪০-৫০ বার সাঁড়াশি অভিযান চালায় রুশবহর, পাঁচ শতাধিক গোলাবর্ষণ করা হয়। তারা এতটাই বেপরোয়া যে, নিজ সৈন্যের মরদেহের ওপর দাঁড়িয়েই যুদ্ধ করছে তারা। গেলো দু’সপ্তাহে দেশটির সাড়ে ৪ হাজার সেনা এবং ওয়াগনার গ্রুপের সদস্য হতাহত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
শিল্প নগরীটির উত্তর-দক্ষিণাঞ্চল ঘেরাও করে রেখেছে সেনাবাহিনী ও ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনার গ্রুপ, এমনটা জানিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তারা বলছে, ইউক্রেনীয় বাহিনীকে অবরুদ্ধ করতেই এ যুদ্ধ পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে।
এসজেড/
Leave a reply