ঠাকুরগাঁওয়ে চোখ বেঁধে যুবলীগ নেতাকে মারধরের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে

|

ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন জেলা যুবলীগের এক নেতা। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ করেননি তিনি। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অভিযোগ, বিনা দোষে থানায় নিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে তাকে।

নির্যাতনের শিকার ব্যক্তির নাম আসাদুজ্জামান পুলক। তিনি ঠাকুরগাঁও জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। মারধরের শিকার হয়ে হাত ভেঙে গেছে তার।

পুলকের অভিযোগ, গত ২৫ এপ্রিল থেকে শুরু হয় সপ্তাহব্যাপী বৈশাখী মেলা। সেখানে মেলা কমিটির সাথে দোকান বরাদ্দ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় তার অনুসারীদের। এরই জেরে পুলিশ দু’জনকে ধরে নিয়ে যেতে চাইলে বাধা দেন তিনি। বিনা অভিযোগে আটক আর নির্যাতন চালান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

নির্যাতনের শিকার পুলক বলেন, আমাকে থানার অফিস রুমের কক্ষে নিয়ে গিয়ে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারা শুরু করলো তারা। এসময় বিভিন্ন অশালীন কথা বলার চেষ্টা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, তারা ৪-৫ জন মিলে আমাকে প্রহার করছিল। কিন্তু সুবিধা করতে না পেরে, হ্যান্ডকাফ এনে বললো এর খুব গরম, এর গরম ছোটাতে হবে। এই বলে আমার চোখ গামছা দিয়ে বেঁধে পেটানো শুরু করে।

এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ দত্ত সমির বলেন, মামলা ছাড়া অপরাধ ছাড়া তাকে যেভাবে চোখ বেঁধে তাকে মারা হয়েছে, এটা গুরুতর অন্যায়।

এসব বিষয়ে মেলা কর্তৃপক্ষের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে ওসির দাবি, উশৃঙ্খলতার কারণে গণধোলাইয়ের শিকার হন পুলক। এছাড়া পুলক ও তার অনুসারী রকির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলে দাবি পুলিশের।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply