উয়েফা ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে বায়ার লেভারকুসেনের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছে রোমা। দুই লেগ মিলিয়ে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে ৩২ বছর পর ইউরোপা লিগের ফাইনালে পা রেখেছে মরিনহোর শিষ্যরা। গতবার ইউরোপিয়ান কনফারেন্স লিগে মরিনহোর হাত ধরেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রোমা।
নিজেদের ঘরের মাঠ বে অ্যারেনা স্টেডিয়ামে রোমাকে আতিথ্য জানায় বায়ার লেভারকুসেন। ঘরের মাঠে প্রথম লেগে ১-০ গোলের জয় ছিল ইতালিয়ান ক্লাব রোমার। তাই ফিরতি লেগে লেভারকুসেনের মাঠে পুরোটা সময় রক্ষণ নিয়ে ব্যস্ত ছিল দলটি। ম্যাচের শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে সফল হয়নি লেভারকুসেন। মোট ২৩টি আক্রমণের ৬টিই ছিলো লক্ষ্যে। বিপরীতে পুরো ম্যাচেটি একটি শটও পোস্টে রাখতে পারেনি রোমা।
লেভারকুসেনের শুরুটা ভালোই হয়েছিল। ২১ বছরে প্রথম ইউরোপিয়ান ফাইনাল খেলার আভাস দিয়েছিল তারা। দ্বিতীয় মিনিটে রোমার লরেঞ্জো পেল্লেগ্রিনির সুযোগ ছাড়া প্রথমার্ধের বাকিটা সময় স্বাগতিকরা ছিল সুবিধাজনক অবস্থানে। প্রতিপক্ষের বক্স কয়েকবার এলোমেলো করে দিয়েছিল তারা। ১২তম মিনিটে মোসা দিয়াবি ক্রসবারে আঘাত করেন। ম্যাচের ২১ মিনিটে কেরেম দেমিরবের নিচু ড্রাইভ ঠেকান গোলকিপার রুই প্যাট্রিসিও।
দ্বিতীয়ার্ধে রোমা গোলের চেষ্টা করেছিল। তবে লেভারকুসেন আক্রমণ চালিয়ে আরও সুযোগ তৈরি করে। দেমিরবেকে ৬৭তম মিনিটে আবারও ঠেকান প্যাট্রিসিও। শেষ পর্যন্ত মুহুর্মুহু আক্রমণ চালালেও কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়নি স্বাগতিকরা। এর ফলে ড্র’য়ের হতাশায় পুড়তে হয় জার্মান ক্লাবটিকে।
যে কৌশলে সফল হয়ে রোমাকে দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে নিয়ে গেলেন হোসে মরিনহো। সবশেষ ১৯৯০-৯১ মৌসুমে তারা প্রথম ও শেষবার লিগটির ফাইনাল খেলেছিল। সেবার ইন্টার মিলানের কাছে হেরে শিরোপা খুইয়েছিল ক্লাবটি। ক্যারিয়ারে এ নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো উয়েফা আয়োজিত প্রতিযোগিতার ফাইনালে উঠলেন এই পর্তুগীজ কোচ।
/আরআইএম
Leave a reply