মিরপুরের দারুস সালামে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের বলি হলো স্কুলছাত্র সিয়াম

|

মিরপুরের দারুস সালামে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে এক স্কুল শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার মৃত্যু হয়। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, দু’পক্ষ একে অপরকে ধাওয়া করছে। তবে কোন পক্ষের অস্ত্রের আঘাতে শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে তা নিশ্চিতে তদন্ত করছে পুলিশ।

দারুস সালামের বসুপাড়ায় বায়তুন নূর জামে মসজিদের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, রোববার (২১ মে) রাত পৌনে ৯টার দিকে সড়কে একদল তরুন দৌড়ে যচ্ছে। কারও কারও হাতে ধারালো অস্ত্র। আরেক দল তরুণের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে তারা। অস্ত্রের আঘাতে আহত হয় ইমরান শেখ ও আলী আকবর। আঘাত পেলেও ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় তারা। কিন্তু ঘটনাস্থলে পড়ে থাকে রক্তাক্ত সিয়াম খানের দেহ। স্বজনদের দাবি, সিসিটিভির ফুটেজের নীল শার্ট পরা তরুণ ইমরান সিয়ামকে ধরে নিয়ে যায়। পরে হত্যা করে তাকে।

নিহত সিয়ামের মামা বলেন, দুই গ্রুপের সংঘর্ষে সিয়ামকে ছুরিকাঘাত করে তারা। এতে সিয়ামের নাভির নিচে প্রায় দেড় ইঞ্চির ক্ষতের সৃষ্টি হয়। স্থানীয়রা সিয়ামকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত সিয়াম পড়তেন মিরপুরের কবি নজরুল স্কুল এন্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণিতে। মায়ের সঙ্গে লালকুঠি বড় মসজিদ প্রথম কলোনীর একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন সিয়াম। একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে দিশেহারা সিয়ামের স্বজনরা।

সংঘর্ষের ঘটনা এবং হত্যাকাণ্ড নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করা হবে বলে জানাায় তারা।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply