বিদেশি প্রভুদের কাছে সাড়া না পেয়ে বিএনপি গভীর হতাশায় নিমজ্জিত: কাদের‍

|

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নীলনকশা অনুযায়ী বিদেশি প্রভুদের কাছ থেকে সাড়া না পেয়ে বিএনপি এখন গভীর হতাশায় নিমজ্জিত। তাই বিএনপি আন্দোলনের পথ হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। ‘বিএনপি না এলে নির্বাচন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অংশগ্রহণমূলক বিবেচিত হবে না’ গণতন্ত্রের অন্তর্নিহিত আদর্শপরিপন্থি এমন অপপ্রচার মুখ থুবড়ে পড়েছে।

সোমবার (২৯ মে) দুপুরে দলের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি। আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির কারণে বিএনপির নির্বাচন বর্জনের ষড়যন্ত্র ভেস্তে গেছে। একইসঙ্গে নির্বাচন বানচালে বিএনপির আগুন সন্ত্রাস ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র কঠোর সতর্কতা জারি করেছে।


যমুনা টেলিভিশনের সবশেষ আপডেট পেতে Google News ফিড Follow করুন।

বিবৃতিতে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বিদেশি প্রভুদের তুষ্ট করার জন্য বিএনপি মিলিয়ন ডলার খরচ করে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে। তাদের সেই ষড়যন্ত্র এখনও অব্যাহত রয়েছে। বিদেশি প্রভুদের কাছ থেকে আশানুরূপ সাড়া না পেয়ে তারা এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতির আলোকে সরকার ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাতে নতুন নতুন নাটক সাজিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। কোথাও নিজেরাই মারামারি করে আহত হয়ে তার দোষ চাপাচ্ছে সরকারের ওপর। কোথাও সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অশ্লীল এবং কুরুচিপূর্ণ স্লোগান ও বক্তব্য দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উসকানি দিচ্ছে। আবার কোথাও পুলিশের ওপর নিজেরাই বিনা উসকানিতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে তার দায় সরকারের ওপর চাপানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের বিএনপি-জামায়াতের দুঃশাসনের কথা ভুলে যায়নি দেশবাসী। আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের দলীয় কার্যালয়েও যেতে পারেনি। আওয়ামী লীগ নেতা শাহ এ এম এস কিবরিয়া, আহসান উল্লাহ মাস্টার, মঞ্জুরুল ইমাম, মমতাজ উদ্দিনসহ ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি বাংলাদেশে নিযুক্ত তৎকালীন ব্রিটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরীও সন্ত্রাসী হামলা থেকে রেহাই পায়নি।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্জিত ধারাবাহিক উন্নয়ন-অগ্রগতি ও প্রশংসনীয় সাফল্যের কারণে বাংলাদেশ আজ বিশ্বসভায় অনন্য মর্যাদার আসনে অভিষিক্ত। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে বাংলাদেশ। দারিদ্র্যের হার ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে এবং অতি দারিদ্র্যের হার ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে এসেছে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে রাজনীতি করে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আবর্তিত হয় আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম। জনগণই আওয়ামী লীগের প্রধান শক্তি। জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্মের নামই আওয়ামী লীগ। বিএনপি যত দেশ ও জনগণের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে বিদেশি প্রভুদের দ্বারে দ্বারে ধর্না দেবে ততই তারা গণশত্রুতে পরিণত হবে।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply