সেপ্টেম্বরে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের ইঙ্গিত দিলেন মন্ত্রীরা

|

আলমগীর স্বপন:

আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার কতটা নির্ভার? অর্থনৈতিক সংকট ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা কূটনীতিকদের প্রকাশ্য তৎপরতায় মেয়াদের শেষ দিকে এসে সরকার কি কিছুটা চাপে পড়েছে? বিশেষ করে অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের শর্তে মার্কিন ভিসানীতিতে চাপের কথা ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক অঙ্গনে।

সরকারের নীতিনির্ধারক কয়েকজন মন্ত্রী বলছেন, কোনো চাপে নয়, সংবিধান অনুযায়ী সুষ্ঠু ভোট হবে। আর তাতে উন্নয়ন কার্যক্রম দিয়েই উতরে যাবে আওয়ামী লীগ। আসছে সেপ্টেম্বরে সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের ইঙ্গিত দিয়েছেন তারা।

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আমরা কোনো অস্বস্তিতে নেই। ২০১৮-তে আমরা নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছি উন্নয়নের কারণে। আমরা জানি যে, কীভাবে নির্বাচন করতে হয় এবং জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে হয়।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সেটার কতটুকু কাজ আমরা করতে পেরেছি এবং বাকি সময়ে আর কতটুকু করতে পারবো সেটা নিয়ে ব্যস্ত। বাংলাদেশে অবাধ সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অবাধ একটি নির্বাচন আমরা করবো। এক্ষেত্রে আমাদের ভয় পাওয়ার তো কোনো কারণ নেই।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিদেশি নীতির কারণে আমাদের চাপ নয়, আমাদের চাপ হচ্ছে দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ করবো আমরা, সেই চাপে আছি।


যমুনা টেলিভিশনের সবশেষ আপডেট পেতে Google News ফিড Follow করুন।

২০১৪ কিংবা ’১৮ সালের চেয়ে এবার বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের বিষয়ে সরাসরি মাঠে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ভিসানীতি ঘোষণা ও জিএসপির শর্তের কথা এরইমধ্যে বলেছে পশ্চিমারা। এর চাপ থাকছে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপরও। যদিও মন্ত্রীরা মনে করেন, ইসির অধীনে আগের মতোই সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করবেন তারা।

ড. আব্দুর রাজ্জাক বললেন, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করবো। সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রের নির্বাহী ক্ষমতার দায়িত্বে থাকা সকলের দায়িত্ব এটা।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ইসি আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ রাখবে, সুন্দর রাখবে, এটাই তাদের দায়িত্ব। প্রশাসন সরকারের একটা এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবে, সেটাই তাদের দায়িত্ব।

আর আনিসুল হক বলেন, আমরা যদি তাদের কাছে অন্যায় সহযোগিতা চাইতাম, তাহলে চিন্তিত থাকতে পারতাম। আর তারাও সেটা বুঝে।

এদিকে, সেপ্টেম্বরে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা হতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান মন্ত্রিসভার কিছুটা কাটছাঁট হবে। যোগ হতে পারে সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলের কেউ।

ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে, আমরা দেখছি। আগামী সেপ্টেম্বর, এই ২-৩ মাসের মধ্যে এই প্রক্রিয়াগুলো হবে।

আনিসুল হক বললেন, প্রধানমন্ত্রী তো এটা বলেছেন, সকলকে নিয়ে হয়তো একটা সরকার গঠন করতে পারেন। যারা সংসদে আছেন, তাদেরকে নিয়ে। সংসদের বাইরে যারা আছেন, তাদেরকে নিয়ে এটা করা হবে না।

মন্ত্রীরা এ-ও বলছেন, সব পক্ষকে সাথে নিয়েই সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায় সরকার। এক্ষেত্রে চাপ রয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ওপরও।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply