ফ্রান্সে প্রাপ্য সম্মান পাননি মেসি: এমবাপ্পে

|

ছবি: সংগৃহীত

২ বছরের চুক্তি শেষে কিছুদিন আগেই ফরাসি ক্লাব পিএসজি ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে পাড়ি জমিয়েছেন আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি। রেকর্ড সাতবারের ব্যালন ডি’অর বিজয়ী মেসির মতো কিংবদন্তির এভাবে চলে যাওয়ায় অখুশি কিলিয়ান এমবাপ্পে। ফরাসি তারকার মতে, ফ্রান্সে মেসি প্রাপ্য সম্মান পাননি। খবর গোল ডটকমের।

পিএসজিতে কিলিয়ান এমবাপ্পে ও লিওনেল মেসি যে খুব সুসম্পর্ক ছিল তা বলা যাবে না। অন্তর্দ্বন্দ্বের গুঞ্জন উঠেছিল মাঝেমধ্যেই। সেগুলোকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মাঠে ঠিকই প্রতিপক্ষের বুকে কাঁপন ধরান আক্রমণভাগের এই জুটি। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডকে ভক্তদের অপমান করা নিয়ে সবসময় নীরব দর্শকের ভূমিকায় ছিলেন এমবাপ্পে। অবশেষে এ বিষয়ে কথা বললেন ফরাসি এই তারকা।

আজ বুধবার (১৪ জুন) জনপ্রিয় ফুটবলভিত্তিক ওয়েবসাইট গোল ডটকমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ফরাসি ম্যাগাজিন লা গাজেত্তাকে এমবাপ্পে বলেছেন, সে (মেসি) ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। মেসির মতো কেউ চলে যাওয়ার খবর কখনও ভালো না। আমি একদমই বুঝতে পারি না কেনো এতো মানুষ তার চলে যাওয়ার খবরে স্বস্তি পেয়েছে। সে ফ্রান্সে তার প্রাপ্য সম্মান পায়নি।

ছবি: সংগৃহীত

এমবাপ্পের এ বক্তব্যের উদ্দেশ্য নিয়ে মেসি ভক্তরা প্রশ্ন তুলতে পারেন, কিন্তু সেটির সত্যতা অস্বীকার করার উপায় নেই। মেসিকে কখনোই আপন করে নেননি পিএসজির সমর্থকেরা। ম্যাচ চলাকালীন সময়েও মাঝে মাঝেই আর্জেন্টাইন অধিনায়ককে দুয়ো দিয়েছেন ক্লাবের কিছু কট্টরপন্থী সমর্থক। বিশেষ করে ক্লাবের অনুমতি না নিয়ে তার সৌদি আরবে সফর নিয়ে সমালোচনা হয়েছে বিস্তর। এ ঘটনার পর তাকে আর সহ্য করতে পারেনি কট্টরপন্থী সমর্থকেরা। এমনকি তাকে ক্লাবছাড়া করার জন্য আন্দোলনও করে উগ্র সমর্থকগোষ্ঠী।

ইন্টার মায়ামিতে যাওয়ার ঘোষণার দিন মেসি স্পষ্ট করে জানান, প্যারিসের দিনগুলো সুখের ছিল না। একদিকে নতুন দেশ, নতুন সংস্কৃতি, সঙ্গে ক্লাব সমর্থকদের দুয়ো। ভালো লাগছিল না ৩৫ বছর বয়সী ফরোয়ার্ডের।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply