গাইবান্ধায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা, স্বামী পলাতক

|

গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার সাদুল্যাপুরে রুমানা বেগম (২২) নামে এক গৃহবধূকে মারধরের পর শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী আঙ্গুর মিয়ার বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী আঙ্গুর মিয়াসহ পরিবারের লোকজন ঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে গেছেন। তবে ঘটনার সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আঙ্গুর মিয়ার বড় ভাইয়ের স্ত্রী শিরীনা বেগমকে (২৪) আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৮ আগষ্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সাদুল্যাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের বিরাহীমপুর গ্রামের স্বামীর বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ ও রুমার স্বজনরা জানান, তিন বছর আগে ভাতগ্রাম ইউনিয়নের তরফ সাদুল্যাপুর গ্রামের আবু মিয়ার মেয়ে রুমানার সাথে একই ইউনিয়নের বিরাহীমপুর গ্রামের খোকা মিয়ার ছেলে আঙ্গুর মিয়ার বিয়ে হয়। আঙ্গুর মিয়া পেশায় রাজ মিস্ত্রী হলেও বর্তমানে অটোরিকশা চালান। তাদের সংসারে দেড় বছরের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের টাকাসহ নানা বিষয়ে তাদের দাম্পত্য কলহ চলছিল।

রুমানা বেগমের স্বজনদের অভিযোগ, বিয়ের সময় এক লাখ টাকা যৌতুক দেয়া হয় আঙ্গুরকে। এছাড়া ঘরের আসবাবপত্র ও কিছুদিন আগে আঙ্গুরকে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা কিনে দেওয়া হয়। কিন্তু আঙ্গুর মিয়া রুমানার কাছে আরও যৌতুকের টাকা দাবি করেন। এ নিয়ে আঙ্গুর রুমানাকে প্রায়ই নির্যাতন করতেন। সোমবার বিকেলে রুমানাকে বেদমভাবে মারধর করে আঙ্গুর। একপর্যায়ে রুমানাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ বাড়ির উঠানে রেখে পালায় আঙ্গুর। রুমানাকে পরিকল্পিতাবে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনা ভিন্ন দিকে নিতে রুমানা আত্মহত্যা করেছে বলে অপ্রচার চালায় আঙ্গুর ও পরিবারের লোকজন।

সাদুল্যাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) এমরানুল কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের গলায় ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে মারধরের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় স্বামী আঙ্গুর ও পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে। তবে ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে একনারীকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে সাদুল্যাপুর থানায় হত্যা মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

যমুনা অনলাইন: আরএম

 


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply