পদত্যাগ ও ৫শ’ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে সিইসিকে ফয়জুল করিমের আইনি নোটিশ

|

ছবি: সংগৃহীত

সাংবিধানিক পদে থেকে দায়িত্বহীন কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের কৈফিয়ত তলব এবং পদত্যাগ দাবি করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন বরিশাল সিটিতে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা চরমোনাইয়ের মুফতি ফয়জুল করিম। বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ফয়জুল করিমের ওপর হামলা নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের বক্তব্যকে দায়িত্বহীন আখ্যায়িত করে ৭ দিনের মধ্যে বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা প্রার্থনা না করলে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫শ’ কোটি টাকা দাবি করেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২২ জুন) তার পক্ষে সিইসিকে আইনি নোটিশ পাঠান অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুল বাসেত।

নোটিশে বলা হয়, ১২ জুন নগরীর ৭নং ওয়ার্ডের কাউনিয়া মেইন রোডের এ কাদের চৌধুরী স্কুল কেন্দ্রে হাত পাখার ভোটার এবং মানিক মিয়া স্কুল কেন্দ্র থেকে পোলিং এজেন্টদেরকে বের করে দেয়ার বিষয়ে হাতপাখার মেয়রপ্রার্থী সেখানকার দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসার ও প্রশাসনকে মৌখিকভাবে জানালেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেননি। বরং নৌকার সমর্থক ও কর্মীরা হাতপাখার মেয়রপ্রার্থী ও তার কর্মীদের অবরুদ্ধ করে রাখে। ঊর্ধ্বতন প্রশাসনকে জানালে সেখান থেকে তিনি বেরিয়ে আসেন।

দ্বিতীয়বার দুপুর আনুমানিক ১২টার সময় হাতপাখার মেয়রপ্রার্থী বরিশাল নগরীর ২২নং ওয়ার্ডে ২৭নং কেন্দ্র ‘সাবেরা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়’ ভোট কেন্দ্রে পরিদর্শন করতে গিয়ে দেখেন যে, নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা ভোট কক্ষে ঢুকে ভোটারদের বলেছে, ‘নৌকায় ভোট দিলে দাও না দিলে চলে যাও’।

এ বিষয়ে হাতপাখার মেয়রপ্রার্থী সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসারকে অবগত করান। এর পরপরই নৌকা প্রতীকের প্রায় ৩০-৪০ জন উচ্ছৃঙ্খল কর্মী ফয়জুল করিম ও তার সঙ্গীয় কর্মীদের ওপর হামলা করে। প্রিজাইডিং অফিসার ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করার পরেও প্রয়োজনীয় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় দ্বিতীয়বার হত্যার উদ্দেশে হামলা করে মাথায়, নাক ও ঠোঁটে আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। এ ঘটনা মুহূর্তের মধ্যে ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশের সংবিধানের ১২৬নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, নির্বাচনকালীন প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবাই নির্বাচন কমিশনের অধীন। অথচ আপনি নোটিশ গ্রহীতা উল্লিখিত ঘটনার বিষয়ে অদ্যাবধি কোনোরূপ ব্যবস্থা নেননি। এ ব্যর্থতার জন্য আপনি-ই দায়ী। তাছাড়া বাংলাদেশের সংবিধানের ১১৯নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, আপনি আপনার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন।

নোটিশে আরও বলা হয়, অতঃপর ওইদিন রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ে ‘বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ভবন’ এ সাংবাদিকরা এ ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে আপনি নোটিশ গ্রহীতা ভোটকেন্দ্রের এ অযাচিত এবং বেআইনি হস্তক্ষেপের বিষয়টি এড়িয়ে যান। অথচ ভোটকেন্দ্রের ভিডিও ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করলে ওই ঘটনায় এর সত্যতা পাওয়া যাবে। আপনি নোটিশ গ্রহীতা হাতপাখার মেয়রপ্রার্থীর গুরুতর জখমের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে হাত পাখার মেয়রপ্রার্থী মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিমের ওপর হামলা ও রক্তাক্ত করার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন যে, এটা আপেক্ষিক। রক্তাক্ত সবকিছু আপেক্ষিক ‘উনি কি ইন্তেকাল করেছেন? আমরা দেখেছি- না? উনি কতটা রক্তাক্ত হয়েছেন। উনার রক্তক্ষরণটা দেখিনি। যতটা শুনেছি, উনাকে কেউ পেছন থেকে ঘুষি মেরেছে।

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply