‘প্রধানমন্ত্রী চাইলে পদত্যাগে রাজি’, বিরোধী এমপিদের তোপের মুখে বাণিজ্যমন্ত্রী

|

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে কণ্ঠভোটে পাস হয়েছে ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের বাজেট। যার আকার প্রায় ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। এর আগে, সকাল থেকে শুরু হয় বাজেট আলোচনা। এতে বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার অভিযোগে বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যদের তোপের মুখে পড়েন বাণিজ্যমন্ত্রী। জবাবে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীর চেয়ে তার রাজনীতির বয়স বেশি। প্রধানমন্ত্রী চাইলে পদত্যাগের জন্য প্রস্তুত তিনি।

সোমবার (২৬ জুন) সকালে মঞ্জুরি দাবির আলোচনায় বলা হয়, বিশ্বের অন্যান্য দেশে মূল্যস্ফীতি কমছে। এর মধ্যে রয়েছে ভারত, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম। কিন্তু বাংলাদেশই এর ব্যতিক্রম। বিশ্ববাজারের কারণে পণ্যের দাম বাড়ছে না। দাম বৃদ্ধির জন্য এখন দায়ী ডলার বাজারের অস্থিরতা। সংসদে বাজেট আলোচনায় সংসদ সদস্যরা এমন দাবি করেন। বলেন, পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সিন্ডিকেট দায়ী। বলা হচ্ছে, মানুষের আয় খেয়ে ফেলছে মূল্যস্ফীতি।

সংসদ সদস্যরা বলেন, পণ্যের দাম বাড়লেও মানুষের ন্যূনতম আয় বাড়েনি। বাজার তদারকি ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে হবে। কারা কারসাজি করে তাদের খুঁজে বের করার দাবিও ওঠে। বলা হয়, বাজার তদারকিতে অনেকগুলো সংস্থা থাকলেও তাদের কাজ নামে মাত্র। যেসব ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে, তাদের শাস্তির আওতায় না আনা সরকারের ব্যর্থতা। বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার জন্য বাণিজ্যমন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি করেন কেউ কেউ।

বাণিজ্যমন্ত্রী এ সময় বলেন, বড় বড় শিল্পগ্রুপ বেশিরভাগ পণ্য উৎপাদন করে। যদি তারা উৎপাদন বন্ধ করে দেয় তাহলে সংকট হবে। এ সময় চিনির শুল্ক কমিয়ে দেবার প্রস্তুাব দেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

সংসদে একজন এমপি বলেন, সরকারের বাজেট বাড়ছে। সেই তুলনায় সংসারের বাজেট কমছে। যে কারণে ছোট হচ্ছে চাল, ডাল, তেল, নুনের আকার। মাংসের পিস ছোট হচ্ছে। মূল্যস্ফীতির একটি দুষ্টুচক্রে আবদ্ধ হয়ে গেছে আমাদের অর্থনীতি।

আরেক সংসদ সদস্য বলেন, অনেকেই বলেছেন যে এ অবস্থার জন্য বাণিজ্যমন্ত্রী নিজেই জড়িত। আমি সেভাবে বলতে চাই না। আমার প্রশ্ন, এত ব্যর্থতার পরও মন্ত্রী কেন স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন না।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এ প্রসঙ্গে সংসদে বলেন, একজন তো আমাকে বললেন পদত্যাগ করতে। খুব ভালো কথা বলেছেন। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলবো, আমাকে ছেড়ে দিয়ে উনাকে দায়িত্বটা দিতে পারেন। কোনো সমস্যা নেই আমার। আমরা কি কেবল আমাদের জন্যই এমন অবস্থায় এসেছি? নাকি বৈশ্বিক পরিস্থিতি আমাদের অর্থনীতির উপর প্রভাব ফেলেছে?

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply