অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে চিরকুট লিখে স্বামীর আত্মহত্যা

|

পঞ্চগড় প্রতিনিধি :

পঞ্চগড়ে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে চিরকুট লিখে শয়ন ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন সোহাগ রানা (১৮) নামের এক যুবক।

রোববার (২৫ জুন) বিকেলে পঞ্চগড় সদর উপজেলার গড়িনাবাড়ি ইউনিয়নের সরকারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সোহাগ রানা ওই এলাকার এনামুল হকের ছেলে এবং পেশায় তিনি একজন কাঠমিস্ত্রি।

খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ঘটনাস্থল হতে চিরকুট এবং ওড়না উদ্ধার করে। রাতে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। সোমবার (২৬ জুন) লাশ ময়নাতদন্ত হওয়ার কথা রয়েছে।

মৃতের চাচা নাজমুল হাসান বিপ্লব জানান, গত আট মাস পূর্বে সোহাগ রানার সাথে হাড়িভাষা এলাকার মহচিনার সাথে বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের দু’মাস পর থেকেই সোহাগের স্ত্রীর পায়ে ব্যথা হয়। পরে রংপুর মেডিক্যালসহ কয়েকটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। তবুও কোমর থেকে পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত ব্যথা দূর না হওয়ায় গত ১২ দিন পূর্বে মহসিনা বাপের বাড়ি চলে যায়। পরে সোহাগ গত ১৮ জুন স্ত্রীকে বাসায় আনতে শ্বশুর বাড়িতে যায়। সেখানে সোহাগ গিয়ে দেখতে পায় স্ত্রী মহচিনা সুস্থ আছে। পরে তাকে নিয়ে আসতে চাইলে শ্বশুর বাড়ির লোকজন বাধা দেয়। এ নিয়ে সোহাগকে মহচিনার ভাই এবং চাচা শ্বশুর মতিউর মারধর করে। পরে স্ত্রী মহচিনাকে না নিয়ে সোহাগ বাসায় ফিরে আসে। গতকাল বিকেলে ঘুমানোর কথা বলে নিজের ঘরে চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করে সে। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে দাফনের পর মামলা করার পরিকল্পনা করছেন তারা।


যমুনা টেলিভিশনের সবশেষ আপডেট পেতে Google News ফিড Follow করুন।

উদ্ধার হওয়া চিরকুটে সোহাগ তার মৃত্যুর জন্য চাচা শ্বশুর মতিউরকে দায়ী করেন। আদালত যেনো মতিউরকে ফাঁসি দেন সেটিও লিখে গিয়েছেন তিনি। স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় জন্মের পর সন্তানকে হাফেজ ও মাওলানা বানানোর নির্দেশও দেন স্ত্রী মহচিনাকে। চিরকুটের শেষে ‘আল্লাহ তুমি আমাকে মাফ করে দিও’ বলেও লিখে যায় সোহাগ।

পঞ্চগড় সদর থানার উপ-পরিদর্শক সামসুজ্জোহা জানান, সরকারপাড়া গ্রাম থেকে সোহাগ রানা নামের একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। বাড়ির বারান্দা থেকে মাটিতে শুয়ে থাকা অবস্থায় আমরা লাশ উদ্ধার করেছি। উপস্থিত পরিবারের লোকজন বলছে সোহাগের নিজ ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন সোহাগ। ঘটনাস্থল থেকে একটি চিরকুট এবং ওড়না উদ্ধার করা হয়েছে।

পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আব্দুল লতিফ মিঞা জানান, এই ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply