‘মাঝের দুটি ওভারেই মোমেন্টাম বদলে গেছে’

|

ছবি: সংগৃহীত

শামীম হোসেন ও তাওহিদ হৃদয়: আফগান বোলারদের উপর দুজনেই রীতিমতো তান্ডব চালানেন ইনিংসের শেষ ওভারগুলোতে। ম্যাচের মোমেন্টাম নিজেদের প্রান্তে আনতে সবচেয়ে বেশি রান খরচ করান আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও ফজলহক ফারুকিকে। মাত্র, ৪৩ বলে খেলা তাদের অনবদ্য ৭৩ রানের জুটিতে জয়ের পথটা সহজ হয়ে যায় টাইগারদের।

আফগানিস্তানের ১৫৫ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১০ ওভারে ৬৪ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। সেখান থেকেই হৃদয় ও শামীমের দুর্দান্ত এক জুটি। ৮ ওভারে যখন প্রয়োজন ৭৬ রান, খেলার মোড় ঘুরে যায় তখনই। বাংলাদেশ ইনিংসের ১৩ তম ওভার করতে আসা আজমতউল্লাহ ওমারজাইয়ের এক ওভারে তিনটি চার মারেন হৃদয় ও শামীম মিলে, সঙ্গে ওয়াইড বলে চারসহ ওভার থেকে আসে ২১ রান। ম্যাচের ১৭তম ওভার করতে আসা ফারুকিকে ছক্কা হাঁকান হৃদয়, চার মারেন শামীম। ওই ওভার থেকে আসে ১৬ রান। মূলত বাংলাদেশের জয়ের পথটা সহজ হয় এই দুই ওভারের মোমেন্টামের কারণেই।

ম্যাচের টার্নিং সময়ে ৪ উইকেট হারানোর পর শামীমের সঙ্গে ব্যাটিংয়ের শুরুতে কী কথা হয়েছিল হৃদয়ের। ম্যাচশেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে অবশ্য সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তরুণ ক্রিকেটার তাওহিদ হৃদয়।

হৃদয় বলেন, শামীমকে একটি কথাই বলেছিলাম, এ রকম ম্যাচ আমরা অনেক জিতিয়েছি। হতে পারে সেটি ঘরোয়াতে। যেহেতু আমরা মিডল অর্ডারে ব্যাট করি, এ রকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি অনেক। ওকে এটিই বলেছিলাম যে, একটি-দুটি ওভারে মোমেন্টাম আনতে পারলেই খেলাটা ঘুরে যাবে। আমরা সেটিই করতে পেরেছি। মাঝে দুটি ওভারেই মোমেন্টাম বদলে গেছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করেছি এবং সবসময় একটা ব্যাপার মাথায় ছিল যে, পরিস্থিতি যেমনই আসুক, পরিস্থিতির দাবি অনুযায়ী আমরা কাজ করবো।

হৃদয় বলেন, আমার কাছে এমন ম্যাচে জয় পাওয়াটাই বড় বিষয়। কেননা, খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস বাড়ে। কোন দল কার বিপক্ষে খেলে সেটি বড় বিষয় নয়; এ ধরনের ম্যাচ যার সঙ্গেই জিতি না কেনো, আত্মবিশ্বাস প্রতিটি খেলোয়াড়কেই দেবে। কারণ এ রকম ম্যাচ কমই হয়। আমি যেহেতু ছিলাম, এ রকম জায়গা থেকে ম্যাচ শেষ করে আসতে পেরেও অনেক ভালো লাগছে। কারণ এ রকম পরিস্থিতি সবসময় আসে না। যখন এ রকম সুযোগ আসে, তখন এটা শেষ করতে পারার লক্ষ্য প্রতিটি ব্যাটসম্যানের থাকে। সেটি করতে পেরে ভালো লাগছে।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply