পথচলার কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন কিংবদন্তি ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার মার্তা। মেয়েদের ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফুটবলার ২০ বছরের ক্যারিয়ারের কথা বলতে গিয়ে আবেগের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারান। খবর বিবিসির।
গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে মার্তা জানান, নারী ফুটবলারদের জন্য উদাহরণ হতে পারাটাই তার প্রাপ্তি। বিশ্বকাপের এবারের আসরে ব্রাজিলের পথচলা এখনও শেষ হয়নি বলে আত্মবিশ্বাসী তিনি। গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়তে না চাইলে ব্রাজিলকে অবশ্যই শেষ ম্যাচে জ্যামাইকাকে হারাতে হবে। আজ (২ আগস্ট) বাঁচা মরার ম্যাচে জ্যামাইকার মুখোমুখি হবে ব্রাজিল।
জ্যামাইকার বিপক্ষে ভাগ্য নির্ধারণী ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে মার্তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল ফুটবলে তার ভূমিকা ও উত্তরাধিকার প্রসঙ্গে। প্রথমে উত্তর দিতে না চাইলেও পরবর্তীতে নিজের কথা বলতে গিয়ে আবেগী হয়ে পড়েন এই ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি। তিনি আর্দ্র হয়ে বলেন, আমি যখন ফুটবল খেলা শুরু করি, আমার কোনো আইকন ছিল না। মেয়েদের ফুটবল তখন সম্প্রচারও হতো না। এখন রাস্তায় আমাকে দেখলে মানুষ থামে। অভিভাবকরা আমাকে দেখে বলে, তাদের মেয়ে আমার ভক্ত। আমার মতো হতে চায় তারা। এটাই তার জীবনের প্রাপ্তি বলে মনে করেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি। তাকে অনিন্দ্য প্রশংসায় ভাসান ব্রাজিলিয়ান কোচ পিয়া সান্ডহাগও।
২০০৩ সালে প্রথমবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে পা রেখেছিলেন মার্তা। পেলে, রোনালদো, রোনালদিনহোদের মতো কিংবদন্তি ব্রাজিলিয়ান খেলোয়াড়ের সঙ্গে তার নামও উচ্চারিত হয়। ঝুলিতে ছয়বার ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার থাকলেও নেই বিশ্বকাপের কোনো ট্রফি। প্রাপ্তির খাতায় যোগ হয়েছে ৩টি কোপা আমেরিকা। নারী ফুটবলে এই ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার রেখেছেন অবিস্মরণীয় ভূমিকা। চলতি আসরে বিশ্বকাপের মঞ্চে শেষ বারের মতো নিজের পায়ের জাদু দেখাচ্ছেন ৩৭ বছর বয়সী এই ফুটবলার।
/এএম
Leave a reply