মামুনুর রশিদ, ঢাকা:
বাংলাদেশের ফুটবলে প্রথমবারের মত নিলামে উঠতে যাচ্ছেন ফুটবলাররা। এলিট একাডেমির ফুটবলারদের নিয়ে তিন ক্লাবের কাড়াকাড়িতে হতে যাচ্ছে এমনটা। মূলত একাডেমির ৭ ফুটবলারকে একাধিক ক্লাব চাওয়ায় এমন পথে হাঁটতে হয়েছে বাফুফের ডেভেলপমেন্ট কমিটিকে।
উন্নত জিম, উন্নত প্রশিক্ষণ। নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়া-দাওয়া, ঠিক সময়ে অনুশীলন। এটি বাফুফে এলিট একাডেমির ফুটবলারদের নিত্যদিনের রুটিন। অল্প বয়স থেকেই ফুটবলের বেসিক ধরে বেড়ে উঠা এ ফুটবলারদের তাই চাহিদাটাও বেশি।
এসব ফুটবলারকে নিয়ে এবার কাড়াকাড়িতে নেমেছে প্রিমিয়ার লিগের তিন ক্লাব। বাফুফের কাছে প্রায় ২৬ জনের তালিকা দিয়েছে মোহামেডান, শেখ রাসেল ও ব্রাদাস ইউনিয়ন। তিন ক্লাবের তালিকায় ৭ ফুটবলার এমন আছেন, যাদের চেয়েছে একাধিক ক্লাব। ফলে প্রথমবারের মত নিলামে উঠতে যাচ্ছে এলিট একাডেমির ফুটবলাররা।
বাফুফে ডেভেলপমেন্ট কমিটির সভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক বলেন, যেহেতু আমাদের এলিট একাডেমির প্লেয়ারদের একাধিক ক্লাব চাচ্ছে, তাই ক্লাবগুলোকে সরাসরি না দিয়ে, উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে যারা সর্বোচ্চ মূল্য দেবে তাদেরকেই দেবো। এটা আমাদের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা আর্থিক লাভবান হয়েছি। পাশাপাশি আমাদের প্লেয়ারদের ভালো প্রশিক্ষণ, ভালো টিমে খেলা এবং শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীর সাথে খেলারও অভিজ্ঞতা বাড়ছে। আমরা ভাবছি, এবার যদি আমাদের ছেলেরা বিপিএলে খেলে, তাহলে ওরা আরও পরিণত হতে পারবে।
প্রিমিয়ার লিগের দলবদল শুরু হয়ে গেছে, ফলে দ্রুত সময়ের মধ্যে রাজধানীর একটি হোটেলে নিলাম সেরে ফেলতে চায় ডেভেলপমেন্ট কমিটি। নির্ধারিত করে দেয়া হবে ভিত্তি মূল্য। এলিট একাডেমির হাত ধরে এবার নতুন দ্বার খুলতে যাচ্ছে বাংলাদেশের ফুটবলে। তাতে আদতে লাভবান হবে ফুটবলাররাই।
এএআর/
Leave a reply