‘একজন আফ্রিকান কেন সর্বাধিক বেতন পাবে’, বায়ার্নের প্রতি মানের এজেন্টের গুরুতর অভিযোগ

|

ছবি: সংগৃহীত

মাত্র এক বছর স্থায়ী হলো সাদিও মানের বায়ার্ন মিউনিখ অধ্যায়। ইনজুরি, ফর্মহীনতা, সতীর্থের সাথে হাতাহাতি- বেশ কিছু কারণেই বাভারিয়ানদের ক্লাবে সময়টা ভালো কাটেনি মানের। সৌদি ক্লাব আল-নাসরে তাকে বিক্রিও করে দিয়েছে জার্মান জায়ান্টরা। তবে এবার বায়ার্নের প্রতি গুরুতর অভিযোগ এনেছেন মানের এজেন্ট বাকারি সিসে। বলেছেন, এই দলবদল ফুটবলীয় কারণে হয়নি। একজন আফ্রিকান কেন ক্লাবের সবার চেয়ে বেশি বেতন পাবে, এটাই মানতে পারেনি জার্মানরা। গোল ডটকমের খবর।

২০২২ সালে ৩৫ মিলিয়ন পাউন্ডে লিভারপুল থেকে বায়ার্ন মিউনিখে যোগ দেন সেনেগালের তারকা ফরোয়ার্ড সাদিও মানে। ১২ মাস পর প্রায় সমান অংকের অর্থের বিনিময়ে তাকে সৌদি ক্লাব আল-নাসরে বিক্রি করেছে বাভারিয়ানরা। সেখানে সপ্তাহে ৬ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ড বেতন পাবেন মানে। খেলবেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, মারসেলো ব্রোজোভিচদের সাথে। বায়ার্নেও বছরে ১৭ মিলিয়ন পাউন্ডের বেশি অর্থই পেতেন মানে। কিন্তু এই সেনেগালিজ ফরোয়ার্ডের এজেন্টের দাবি, এই পরিমাণ অর্থ আর মানের জন্য খরচ করতে চাচ্ছিল না বায়ার্ন।

আফটার ফুট আরএমসি‘তে দেয়া সাক্ষাৎকারে মানের এজেন্ট বাকারি সিসে বলেন, তাকে বিক্রি করে দেয়াটা কোনো ফুটবলীয় কারণে ঘটেনি। সাদিওর বেতনটাই জার্মানদের পীড়া দিচ্ছিল। তারা কোনোভাবেই বুঝতে পারছিল না যে, একজন আফ্রিকান কীভাবে ক্লাবে যোগ দিয়ে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত বনে গেলো! সাদিওকে তাই যেকোনোভাবে ছেড়ে দিতে চাচ্ছিল তারা। বায়ার্নের কর্তারা সাদিওর কোনো প্রতিনিধির সাথেও কথা বলেনি। সাদিওর সাথে সরাসরি কথাও হয়নি তাদের। তারা কেবল টমাস টুখেলকে (বায়ার্নের কোচ) সাদিওর কাছে পাঠিয়ে বলতে বলেছে, এখন থেকে সে (সাদিও মানে) দলের তৃতীয় পছন্দের লেফট উইঙ্গার।

বাকারি সিসে আরও বলেন, দেখুন, জার্মানদের কাছে সাদিওর নিজেকে প্রমাণের কিছুই নেই। সে যে পর্যায়ে এসেছে তার জন্য কোনো কৃতিত্বই পাবে না বায়ার্ন। এই কৃতিত্ব পাবে লিভারপুল। বায়ার্ন একদমই অকৃতজ্ঞের কাজ করেছে। তারা একজন আফ্রিকান ফুটবলারকে অর্থ দিচ্ছিল, আর এটাই ভেবেই ওরা কষ্ট পেয়েছে। সাদিও শেষ পর্যন্ত পেশাদারের মতোই আচরণ করেছে। কিন্তু বায়ার্নের কর্তাব্যক্তিরা যথাযথ আচরণ করেনি। ২০ মিলিয়ন ইউরোয় মানেকে বিক্রির পরিকল্পনার কথা তারা প্রথমে মিডিয়ার কাছে ফাঁস করে দেয়। কিন্তু পরে যখন সাদিও অনুশীলনে ফিরে ভালো করতে থাকলো, দামটাও বাড়িয়ে ৩০ মিলিয়ন ইউরো করে ফেলা হলো। সাদিও টাকা চুরি করেনি। বায়ার্নের সাথে প্রথম বৈঠকে বেতনের কথা না জেনেও সাদিও কথা দিয়েছিল যে, ক্লাবে যোগ দেবে সে। বেতনের ব্যাপারে পরবর্তীতে কথা বলেছিল তার প্রতিনিধি।

আরও পড়ুন: ‘অশেষ অর্থের’ হাতছানি উপেক্ষা করে ‘ফুটবলের চিত্র পাল্টানোর সুযোগ’ কেন বাছলেন মেসি

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply