সিএসএ যেন ডিএসএ’র দমনমূলক বৈশিষ্ট্যগুলো ফিরিয়ে না আনে: অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল

|

বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) বাদ দেয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, বাংলাদেশ সরকারকে এটা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে, সাইবার নিরাপত্তা আইন (সিএসএ) যেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দমনমূলক বৈশিষ্ট্যগুলো ফিরিয়ে না আনে। ক্ষমতাসীন দল ও এর সহযোগীরা কঠোর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে ভিন্নমত দমন এবং অনলাইনে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করতে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছিল বলেও মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।

সোমবার (৭ আগস্ট) অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাদ দিয়ে এ আইনের বিষয়বস্তুতে বড় পরিবর্তন এনে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন’ নামে নতুন একটি আইন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ ঘোষণার পরপরই এক টুইটে এ ব্যাপারে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানায় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক আঞ্চলিক দফতর।

টুইটে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারকে এটা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে, সাইবার নিরাপত্তা আইন যেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দমনমূলক বৈশিষ্ট্যগুলো ফিরিয়ে না আনে।

ওই টুইটে আরও বলা হয়, নতুন আইন পাসের আগে প্রস্তাবিত আইনটি খুঁটিয়ে দেখা এবং এর ব্যাপারে মতামত প্রদানের যথেষ্ট সুযোগ যেন সব অংশীদার পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এর বিধানগুলো যেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, সে আহ্বানও জানিয়েছে সংস্থাটি।

মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারচর্চার কারণে যাদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় আনা হয়েছে, অবিলম্বে নিঃশর্তভাবে তাদের মুক্তি ও তাদের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ প্রত্যাহার করতেও বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply