নতুন কর্মসূচিতে চমক সৃষ্টি করতে চায় বিএনপি

|

ছবি: সংগৃহীত

এক দফা দাবি আদায় করতে আন্দোলনের নতুন কর্মসূচিতে চমক সৃষ্টি করতে চায় বিএনপি। পূরণ করতে চায় সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা। এরই মধ্যে নতুন কর্মসূচি ঠিক করতে সমমনা দলগুলোর সঙ্গে আলোপ আলোচনা করছে দলটি। জেলায় জেলায় কালো পতাকা মিছিলের পাশাপাশি থানা ও আদালত কেন্দ্রিক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিও আসতে পরে বলে জানা গেছে। বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা জানান, যত প্রতিকূলতাই আসুক দাবি আদায় করেই ঘরে ফিরবে নেতা-কর্মীরা।

নয়া পল্টনের মহাসমাবেশ থেকে সরকার পতনে এক দফা ঘোষণার পরদিনই রাজধানীর প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। সেদিনও প্রায় প্রতিটি স্পটেই সরব দেখা গেছে ঢাকার নেতাদের। সংঘাত-সহিংসতাও হয়েছে বিস্তর। এরপর থেকে কিছুটা হলেও ছন্দপতন ঘটেছে বিএনপির আন্দোলনে।

তবে কি কোনো সমন্বয়হীনতা আছে? নাকি টানা কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত হয়ে পরেছেন দলীয় নেতা-কর্মীরা?

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেন, আমরা গণতান্ত্রিক আন্দোলন করছি, এখানে ক্লান্তির কোনো প্রশ্ন নেই। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের রূপটাই এমন যে, একসময় খুব এগিয়ে যাবে আবার একটু নিচে যাবে। একসময় তৃণমূলে যাবে, একসময় আবার কেন্দ্রে আসবে। তারপরে একসময় দেখা যাবে যে, গণ-অভ্যুত্থান হয়ে গেছে।

এরই মধ্যে নতুন কর্মসূচি ঠিক করতে সমমনাদের মতামত জানছে বিএনপি। আলাপ-আলোচনা করছে বিভিন্ন পেশাজীবীদের সঙ্গে। সপ্তাহ দু’য়েক কৌশলি অবস্থানে থেকে, আগস্টের শেষ দিকে হার্ডলাইনে যাবে দলটি।

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সকলের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে এবং জনগণের প্রত্যাশা পূরণে যে ধরনের কর্মসূচি দেয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেবে সেটাই দেয়া হবে। এই যে, লক্ষ লক্ষ মানুষ রাস্তায় নেমেছে, তাদেরও তো একটা প্রত্যাশা আছে এবং যারা এখনও নামেনি তাদেরও একটা প্রত্যাশা আছে। সুতরাং সেই প্রত্যাশা আমাদের পূরণ করতে হবে জাতির স্বার্থে, দেশের স্বার্থে।

অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেন, আরও নতুন চমক আসবে আন্দোলনে এবং সকল আন্দোলনের কর্মসূচি কিন্তু শান্তিপূর্ণ হবে। আমাদের প্রত্যেকটা আন্দোলন কিন্তু কর্মসূচিগুলো রচিত হয় আমাদের স্থায়ী কমিটির মিটিংয়ে। যেখানে সভাপতিত্ব করেন আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান। সেখানে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে একেবারে গণতান্ত্রিকভাবে কিন্তু এই কর্মসূচিগুলো প্রণয়ন হয়।

বিএনপির দায়িত্বশীল নেতাদের দাবি, চরম প্রতিকূলতার মধ্যেও রাজপথে নেমে এসেছে সাধারণ মানুষ। তাই গুম-খুন করে দমানো যাবে না বিএনপির চলমান আন্দোলন।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিগত দিনে সবসময় সফল হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে সফল হয়েছে, ভাষা আন্দোলনে সফল হয়েছে, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সফল হয়েছে এবারও সফল হবে। এটা তো জনগণের আন্দোলন, জনগণের মুক্তির আন্দোলন। মুক্তিযুদ্ধের পরে এর চেয়ে বড় ধরনের মুক্তির আন্দোলন বাংলাদেশে হয়নি।

তিনি আরও জানান, এরই মধ্যে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ আর ‘মেহনতি মানুষের পদযাত্রা’র মতো কর্মসূচি দিয়ে আন্দোলনে বৈচিত্রতা এনেছে বিএনপি। সামনে আরও জনসম্পৃক্ততা আসবে, যার মধ্য দিয়ে পূরণ হবে এক দফা দাবি।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply